‘অল্প দূরত্বে’ নির্মাণ করা যাবে বাবরি মসজিদ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/08/08/photo-1502209901.jpg)
বর্তমান স্থান থেকে ‘একটু সরিয়ে’ বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা যাবে। ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ফৈজাবাদ জেলায় অবস্থিত বাবরি মসজিদ নিয়ে এমন মতামত দিয়েছে ভারতে মুসলমানদের জন্য প্রতিষ্ঠিত শিয়া ওয়াকফ বোর্ড।
উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদ নির্মাণ ও পাশাপাশি চলা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এই মন্তব্য করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থাটি।
অযোধ্যার বিতর্কিত বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দিরবিষয়ক এই মামলাটি আগামী ১১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে বিচারের জন্য তোলা হবে। এর আগে শিয়া ওয়াকফ বোর্ড আদালতকে পরামর্শ দিয়েছে কয়েক দশক ধরে চলমান মসজিদ মন্দিরবিষয়ক বিতর্কের শান্তিপূর্ণ অবসান প্রয়োজন। চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে একই স্থানে মসজিদ এবং মন্দির থাকলে তা সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাবে।
আর তাই শিয়া বোর্ড ওই পাশের মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় ওই মসজিদ গড়ে তোলার পরামর্শ দেয়। তবে তা খুব বেশি দূরত্বে নয়।
এ ছাড়া শিয়া ওয়াকফ বোর্ড উচ্চ আদালতের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে এই বিষয়টি অবসানে একটি প্যানেল গঠনের পরামর্শ দেয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং উত্তর প্রদেশের মনোনীত প্রতিনিধি নিয়ে আইনি ওই প্যানেল গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছে শিয়া ওয়াকফ বোর্ড।
১৫২৭ সালে ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের রামকোট হিলের ওপর বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়। একাধিক হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ওই চত্বরে রাম মন্দির নির্মাণের দাবি তোলে। হিন্দু সংগঠনগুলোর দাবি, মোগল সম্রাট বাবর রামের আদি মন্দিরটি ভেঙে মসজিদ করেন। ১৯৯০-এর পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও বিজেপি ইস্যুটি তুলে ধরে। ১৯৯২ সালে মসজিদটি ভেঙে দেওয়া হয়।
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত রাম জন্মভূমি চত্বরকে তিন ভাগে বিভক্ত করে এক-তৃতীয়াংশ মুসলিম সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, অন্য অংশ নির্মোহী আখড়া হিন্দু সংগঠনকে দেন। তবে সমগ্র চত্বরের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে হিন্দু সংগঠনগুলো।