ইরানের ওপর যেকোনো আগ্রাসন প্রতিরোধ করা হবে
মধ্যপ্রাচ্যে তুমুল রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান বলেছেন, ‘যেকোনো ধরনের আগ্রাসন হলে প্রতিরোধ করা হবে। সেটি যদি ছোটখাটো পরিসরেও হয়, তা ধ্বংস করা হবে।’
সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার ঘটনায় সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করছে। এ ঘটনার পর সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সেনা পাঠানোরও ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি।
শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বক্তৃতায় হোসেইন সালামি প্রতিপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সাবধান, স্বল্প পরিসরে হামলা করা হলেও তা স্বল্প পরিসরে থাকবে না। যেকোনো আক্রমণকারীকে শক্ত করে ধরা হবে এবং সমূলে ধংস নিশ্চিত করা হবে।’
‘ইরান যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত,’ সালামি যোগ করেন।
১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা চালানো হয়। এরপর সৌদি আরবের তেল স্থাপনাগুলো হামলা থেকে রক্ষার জন্য গতকাল শনিবার সেখানে সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপের সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান আরামকোর সবচেয়ে বড় তেল পরিশোধনাগার আবকায়িক ও খুরাইস এলাকায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
তবে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরানই ওই হামলার জন্য দায়ী। সৌদি আরবও হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে।
যদিও তেহরান ওই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘ইয়েমেনের জনগণ তাদের প্রতিরক্ষামূলক বৈধ অধিকার প্রয়োগ করছে।’