মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে সৌদি আরব!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/04/photo-1449243816.jpg)
জার্মানির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (বিএনডি) সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিমা বিশ্বের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ভূমিকা পালন করছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনডির ইস্যু করা কর্মপন্থা-সংক্রান্ত নথির (মেমো) বরাত দিয়ে জার্মানির ডার স্পিগেল পত্রিকা এ খবর প্রকাশ করেছে। বিএনডি বলছে, ‘সৌদি আরব ক্রমেই তার পররাষ্ট্রনীতিতে আগ্রাসী হয়ে উঠছে।’
মেমোর বরাত দিয়ে জার্মানির শীর্ষ দৈনিকটি বলছে, গত জানুয়ারিতে নতুন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ আগ্রাসী নীতি নেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাজপরিবারের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা-দ্বন্দ্ব এবং পুরো আরব অঞ্চলে একচ্ছত্র শাসন কায়েমের আকাঙ্ক্ষার কারণে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে সৌদি আরবকে মিত্র করার বিষয়টি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বিএনডির মেমোতে বলা হয়েছে, ‘সতর্ক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া সৌদি রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে, এর পরিবর্তে হঠকারী হস্তক্ষেপকারী নীতি প্রণয়ন করা হবে।’
অন্য অনেকের মধ্যে সৌদি বাদশাহর ছেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলাদা করে দেখেছে বিএনডি। সৌদি আরবকে একটি নতুন, অত্যন্ত আগ্রাসী ও ভয়ঙ্কর পথের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন সালমানসহ অনেকে। আর এই পথই সৌদি আরবের নতুন শাসকদের কাছ থেকে আসতে পারে বলে হুমকি রয়েছে। যুবরাজ মোহাম্মদ সালমান ইয়েমেনে আগ্রাসনের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেন বলে ধারণা করা হয়। তাঁর হাতে রাজ্যের অর্থনৈতিক সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণও রয়েছে।
যুবরাজের হাতে অনেক বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার কারণে প্রচ্ছন্ন ঝুঁকিটা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনডি। জার্মানির সংস্থাটির ধারণা, বাবার জীবদ্দশাতেই নিজেকে ক্ষমতার তুঙ্গে নিয়ে যাবেন সালমান।
বিএনডির মেমোতে বলা হয়েছে, ‘বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ সালমান দুজনই আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশীল শাসক হওয়ার জন্য মরিয়া। এ জন্য তাঁরা একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী এবং আঞ্চলিক মিত্র গড়ে তুলবেন।’
বিএনডির বিশ্লেষকরা বলছেন, এটাই যদি বাস্তবতা হয়, তাহলে পুরো আরব অঞ্চলে সারাক্ষণই অস্থিরতা থাকবে। এর কারণ ইরানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকবে।
এদিকে, সৌদি আরবকে নিয়ে বিএনডির এ নথি প্রকাশের জন্য নিজেদেরই গোয়েন্দা সংস্থাটিকে তিরস্কার করেছে জার্মানির সরকার। সরকারের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘প্রকাশিত এ মূল্যায়ন জার্মানির সরকারের অবস্থান নয়।’