১০ দিন পর ‘গুজবের’ হাঁড়ি ফাটিয়ে ফিরলেন পুতিন
১০ দিন ধরে পশ্চিমা গণমাধ্যম রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের খোঁজ না পেয়ে তাঁর অসুস্থতা, সন্তানের জন্ম, এমনকি মৃত্যু নিয়ে যেসব গুজব ছড়াচ্ছিল, সেগুলো আজ সোমবার মাঠে মারা গেছে। রুশ নগরী সান্ত পিতারবুর্গে এক ভবনের বাইরে বেরিয়ে এসে আজ কিরগিজ প্রেসিডেন্ট আলমাসবেগ আতামবায়েভকে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট পুতিন।
কয়েকদিন ধরে জনসম্মুখে হাজির না হওয়ায়, নিন্দুকরা পুতিনের সম্পর্কে যথাসাধ্য গুজব ও কুৎসা রটিয়েছে। কেউ দাবি করেছে পুতিন অসুস্থ, কেউ বলেছে সামরিক অভ্যুত্থানে উৎখাত হয়েছেন পুতিন, আবার কেউ বলেছে প্রেসিডেন্টের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে জন্ম নেওয়া শিশুকে দেখতে বিদেশে গেছেন ওই রুশ নেতা।
কালো কোট-টাই পরা ৬২ বছর বয়সী পুতিন ক্যামেরার সামনে হাজির হয়ে রটনাকারীদের একহাতও নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গুজব ছাড়া থাকতে ম্যাড়মেড়ে লাগে।’
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ব্যাঙ্গ-রসিকতা করে গণমাধ্যমগুলোকে নাস্তানাবুদ করতে ভোলেননি : ‘দেখলেন তো, নাজুক, পক্ষাঘাতগ্রস্ত প্রেসিডেন্টকে — যিনি বন্দী হয়েছেন সেনাপতিদের হাতে?’
খানিকটা অঙ্গভঙ্গি করে কিরগিজ প্রেসিডেন্ট আলমাসবেগও বলেন, ‘[পুতিন] একটু আগে আমাকে নিজে [গাড়িতে করে] চারদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে এসেছেন।’
গণমাধ্যমে পুতিনের অনুপস্থিতির সময় ক্রেমলিন কর্তৃপক্ষ কাজাখস্তানে প্রেসিডেন্টের এক পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করে এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠক পিছিয়ে দেয়। ওই সময় কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইটে এমন কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে, যেগুলো কয়েকদিনের পুরোনো।
এসব ঘটনাই হয়তো পশ্চিমাদের উৎসাহিত করেছে পুতিনকে ঘিরে রটনা ছড়াতে। এর আগে সোভিয়েত আমলে সব রুশ নেতার মৃত্যু নিয়ে অসংখ্যবার আজগুবি ও মিথ্যা খবর প্রচার করত ইউরোপীয় ও মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্কের অবনতিতে পুরোনো চর্চায় হাত মকশো করল পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো।