যুক্তরাষ্ট্রে লাইভ কনসার্টে সংগীতশিল্পী খুন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/06/11/photo-1465647649.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি কনসার্টে গান পরিবেশনের সময় ক্রিশ্চিয়ানা গ্রিমি নামের এক সংগীতশিল্পীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ক্রিশ্চিয়ানা গ্রিমি নামে ওই নারী শিল্পীকে গুলি করার পর আত্মহত্যা করেছেন ওই অজ্ঞাত বন্দুকধারী।
দেশটির ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরলান্ডো শহরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে অরলান্ডো প্লাজায় ‘লাইভ’ সংগীত পরিবেশন করার সময় গুলিতে আহত হন ক্রিশ্চিয়ানা।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশনের সংগীত প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে ‘দ্য ভয়েস’-এ অংশ নিয়ে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া ২২ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানা একটি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনের সময় হামলার শিকার হন। ওই বন্দুকধারী ক্রিশ্চিয়ানাকে গুলি করার পর আত্মহত্যা করেন।
অরলান্ডো পুলিশের মুখপাত্র ওয়ান্ডা ফোর্ড জানান, কনসার্ট শেষে গ্রিমি মঞ্চের পেছনে ভক্তদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই ওই বন্দুকধারী পরপর পাঁচটি গুলি করে। এ সময় গ্রিমির ভাই ওই বন্দুকধারীকে ধরে ফেলেন, তবে তার আগেই বন্দুকধারী নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন।
ফোর্ড আরো জানান, গ্রিমির ভাই ছুটে গিয়েছিলেন গ্রিমিকে বাঁচাতে এবং অস্ত্রধারীকে থামাতে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। তবে এ সময় অন্য কেউ আহত হয়নি।
কড়া নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণের মধ্যেও ওই বন্দুকধারী কনসার্টে কীভাবে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করল এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় হামলাকারী দুটি বন্দুক নিয়ে এসেছিল জানালেও তার নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
গ্রিমিকে গুরুতর আহত অবস্থায় অরলান্ডো রিজিওনাল মেডিকেল সেন্টারে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত প্রকাশক হিথার উইস।
ফোর্ড বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না ওই বন্দুকধারী শুধু তাঁর একজন উন্মাদ ভক্ত নাকি অন্য কেউ। আমরা সত্যিই জানি না। পুলিশ এখনো ওই অস্ত্রধারীর পরিচয় ও হত্যার কারণ জানতে পারেনি।’
সম্প্রতি গ্রিমি ‘দ্য ভয়েস’-এর ষষ্ঠ সেশনের শেষ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রচুর। মৃত্যুর আগে ওই কনসার্টে আসার জন্য ভক্তদের উদ্দেশে একটি উৎসাহদানকারী পোস্ট দিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।