মানবপাচারের ঘটনায় জাতিসংঘের উদ্বেগ
ভূমধ্যসাগরকে রুট হিসেবে বিবেচনা করে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাচারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই অঞ্চলের মানুষের জীবন রক্ষার তাগিদে সব পক্ষকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল সোমবার ওয়াশিংটনে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান মহাসচিবের উপ মুখপাত্র ফারহান হক।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘রোববার ইন্দোনেশিয়া থেকে এক হাজার চারশ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবং আপনি জানেন যে, পাচারকারীদের কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিককে লাংকাউয়ি দ্বীপে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। তো এই মানব পাচার বন্ধ করতে জাতিসংঘ কি ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে? কারণ এই অঞ্চলে এ ঘটনা চলতেই আছে।’
এই প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন। সানব পাচার একটি খুবই গুরুতর বিষয়। কিছুদিন আগে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের মৃত্যুর পর এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। গতসপ্তাহেও আমরা এ বিষয়টি উল্লেখ করেছিলাম। ভূমধ্য সাগর দিয়ে এই মানব পাচারের ঘটনা আমাদের উদ্বেগের অংশ। অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলা এবং প্রাথমিকভাবে তাদের উদ্ধার করাই আমাদের এখনকার মূল চেষ্টা।
অনেক মানুষ এখন বিপদের মধ্যে আছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে পাচারকারীরা তাদেরকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আপনি যেমনটা জানেন, আমরা বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে মানব পাচার ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছি। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাগুলো এই লক্ষ্যে কাজ করছে। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে কাজ করে এমন সব পক্ষের উচিত মানুষের জীবন রক্ষা করাকে প্রথম এবং সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।’