করাচিতে বাসে বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ৪৩
পাকিস্তানের করাচিতে একটি বাসে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আজ বুধবার করাচিতে সাফুরা চকের কাছে ইসমাইলি সম্প্রদায়ের লোকজনকে বহনকারী বাসটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল ঘুলাম হাইদার জামালি বলেন, ৬০ যাত্রী বহনকারী এই বাসে ছয় বন্দুকধারীর গুলিতে ৪৩ জন নিহত হন। বন্দুকধারীদের কাছে নাইন এমএম পিস্তল ছিল। হামলার পর তারা পালিয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে ২৫ পুরুষ ও ১৬ নারী। হতাহতদের মধ্যে কোনো শিশু নেই বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
মেমন মেডিকেল সেন্টারের নিরাপত্তাকর্মী রানা এম রাজ্জাক দ্য ডনকে জানান, হামলার সময় একটি মেয়ে লুকিয়ে ছিল। তাই সে বেঁচে গেছে। তিন থেকে চারজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকি সবাই মারা গেছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আটজনের মতো বন্দুকধারী মোটরসাইকেল থেকে একটি বাস লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। তবে ভিডিও ফুটেজে গোলাপি রঙের বাসটিতে কোনো বুলেটের চিহ্ন দেখা যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা বাসে উঠে গুলি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হামলাকারীরা বাসের ভেতরে ঢুকে যাত্রীদের গুলি করে হত্যা করে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, বন্দুকধারীরা বাসটি থামিয়ে বাইরে থেকে গুলিবর্ষণ করে। এর পর তারা বাসের অভ্যন্তরে ঢুকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে গুলি করে। বাসটির ধারণক্ষমতা ৫২। কিন্তু এর চেয়েও বেশি যাত্রী ছিল।
ইসমাইল ন্যাশনাল কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের সম্প্রদায়ের সমাজকল্যাণ বোর্ডের বাসটির ওপর হামলায় পাঁচজন নিহত এবং নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত করছি।’
নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বেসরকারি মেমন মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।
ইসমাইল সম্প্রদায়ের আল-আজহার গার্ডেন কলোনি এই বাসটির স্বত্বাধিকারী। এটি সব সময় করাচির ফেডারেল বি এলাকার পথ দিয়েই যাতায়াত করে।