মৃত্যুদণ্ড কমানোর পক্ষে ইরানের বিচারমন্ত্রী
বিভিন্ন অপরাধে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে অন্য কোনো ‘কার্যকর সাজা’ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ভাবছেন ইরানের বিচারমন্ত্রী মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদি।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা তাসনিমকে এ ভাবনার কথা জানান মোস্তফা।
তাসনিমকে মোস্তফা বলেন, ‘আমরা চাই, সবচেয়ে কার্যকর শাস্তির উপায়, যাতে করে মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প চিন্তা করা যায়।’
মন্ত্রী বলেন, মৃত্যুদণ্ড কেবল ‘দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজন’কে দেওয়া উচিত।
‘অবশ্যই শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা এখনো আলোচ্যসূচিতে আছে। কিন্তু বর্তমান সময়ের মতো এত সংখ্যক নয়’, বলেন মোস্তফা।
‘শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা যাবে না। কারণ, এ দেশে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত লোক আছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই’, যোগ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ হলো, বিগত বছরগুলোতে মৃত্যুদণ্ড অপরাধ প্রতিরোধে দৃশ্যত ভূমিকা রাখতে পারেনি।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ২০১৫ সালে ইরান কমপক্ষে ৯৭৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এ সাজার বেশির ভাগই হয় মাদকবিষয়ক অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিদের। এর আগের বছর ইরান ৭৪৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে লোকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া নিয়ে সম্প্রতি ইরানে বিতর্ক শুরু হয়। ব্যক্তিগত সেবনের জন্য সামান্য পরিমাণ মাদক নিয়ে ধরা পড়া লোকজনকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যাকে অনেকেই বাড়াবাড়ি বলেছেন।
ইরানের বিচারব্যবস্থা শরিয়া আইনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। এ আইনে মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড বাধ্যতামূলক নয়।