নোটে প্রাণীর চর্বি, ক্ষুব্ধ যুক্তরাজ্যের হিন্দুরা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/12/05/photo-1480919663.jpg)
যুক্তরাজ্যের নতুন পাঁচ পাউন্ডের নোটে প্রাণীর চর্বি ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ‘নিরামিশাষী’ হিন্দুরা। হিন্দু ফোরাম অব ব্রিটেন (এইচএফবি) নামে ওই সংগঠনের দাবি, প্রাণীর চর্বি ব্যবহার করে তৈরি করা সব পাঁচ পাউন্ডের নোট বাজার থেকে তুলে নিক ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। নোটে প্রাণীর চর্বি ব্যবহার মানুষকে প্রাণীহত্যায় উৎসাহিত করবে বলে মতামত তাঁদের।
এইচএফবির নেতা ও যুক্তরাষ্ট্রের ইসকন মন্দিরের পরিচালক গৌরীদাস বলেছেন, ‘প্রাণীহত্যা অন্যায়। আর ওই প্রাণীর চর্বি ব্যবহার করে নোট তৈরিও অন্যায়। ওই নোট কেউ নিজের কাছে রাখলে বা ব্যবহার করলে তা হবে পাপ।’
এইচএফবির দাবি, তাদের এই দাবি বিদ্বেষপরায়ণ নয়, বরং এটি বিবেচনাপ্রসূত। এর মাধ্যমে বিশ্বের বড় কল্যাণসাধনই তাঁদের উদ্দেশ্য।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ‘যুক্তরাজ্যে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের ছবিসংবলিত এই নতুন নোটগুলো চালু করা হয়েছে। নোটগুলো চালুর পরপরই ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের দেওয়া এক বিবৃতিতে নোটের উপাদানের মধ্যে প্রাণীর চর্বির কথা উল্লেখ করা হয়। এই চর্বি কোন প্রাণীর, তা উল্লেখ না থাকলেও নতুন নোটে গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
সেই থেকেই এই চর্বিযুক্ত নোটের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন দেশটিতে বসবাসকারী হিন্দুরা। এ ছাড়া নিরামিশাষী ক্যাফেগুলোও নতুন এই নোট নিতে অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, ‘যেহেতু এই ক্যাফেগুলোতে কোনো আমিষ জাতীয় খাবারই রাখা হয় না, সুতরাং কোনো চর্বিযুক্ত নোটও এখানে রাখা হবে না।’
তবে এই পুরো ঘটনাকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এ ছাড়া নোট প্রস্তুতকারক অস্ট্রেলিয়ান সংস্থাও এ পুরো ঘটনাকে ‘উদ্ভট’ বলে ব্যাখ্যা করেছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে নতুন এই পাঁচ পাউন্ডের নোটের উপাদান সম্পর্কে তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই যুক্তরাজ্যের হিন্দু ফোরাম ও নিরামিশাষীরা এই নোট বাতিলের দাবি জানান।
এমনকি নতুন এই পাঁচ পাউন্ডের নোটের বিরুদ্ধে আবেদনের জন্য স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানেও নেমেছে তাঁরা। এনডিটিভি খবর অনুযায়ী, ‘চর্বিবিহীন নোট চাই’ এবং ‘নতুন নোট থেকে চর্বি সরাও’ দাবির সঙ্গে সম্পৃক্ততা জানিয়েছেন প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ। এই সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়ালেই বিভিন্ন ব্যাংকে স্মারকলিপি পাঠাতে শুরু করবে হিন্দু ফোরাম অব ব্রিটেন।