সুইডেনের বিষয়ে এরদোয়ানের সঙ্গে ন্যাটো প্রধানের বৈঠক
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/06/05/erdoan_nato_chief.jpg)
ন্যাটোয় সুইডেনকে নেওয়া নিয়ে নতুন করে তুরস্কের পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।
গত শনিবার (৩ জুন) তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ উপলক্ষে একাধিক পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আঙ্কারা গেছিলেন। সেখানে ছিলেন ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গও। গতকাল রোববার (৪ জুন) এরদোয়ান ও তুরস্কের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটোর প্রধান।
ন্যাটো সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও এ দিন মূলত একটি বিষয়ের ওপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন স্টলটেনবার্গ। এরদোয়ানের কাছে তার অনুরোধ, সুইডেনকে ন্যাটোয় ঢোকানোর বিষয়ে তুরস্ক আরেকটু নমনীয় হোক। তুরস্কের আপত্তির কারণেই সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া যাচ্ছে না।
বৈঠকের পর এরদোয়ান কোনো মন্তব্য না করলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিষয়টি নিয়ে তুরস্ক অভিমত পরিবর্তন করতেও পারে।
এ দিনের বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, সুইডেনের একটি অংশ কুর্দ যোদ্ধাদের সমর্থন করে। এর অর্থ তারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। এই কারণেই সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদান তুরস্ক মেনে নেবে না।
স্টলটেনবার্গ বলেন, গত কয়েক মাসে সুইডেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদের জন্য নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। ফলে তুরস্ক এবার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
সুইডেন ও ফিনল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় রাজনীতিতে সমদূরত্বের নীতি নিয়ে চলছিল। কিন্তু, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা পুরোনো নীতি থেকে সরে আসে এবং ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও সুইডেনকে নিয়ে আপত্তি জানায় তুরস্ক।
স্টলটেনবার্গ বলেন, সুইডেন ন্যাটোয় যোগ দিলে সুইডেনের যেমন সুবিধা হবে, তেমন তুরস্কেরও সুবিধা হবে। সামগ্রিকভাবে ন্যাটো আরও শক্তিশালী হবে।