কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর নৌযান ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার

কৃষ্ণ সাগরে অবস্থান করা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর নৌযান ধ্বংসের দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) মস্কো থেকে এই দাবি করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেনীয় বাহিনীর আরও একটি নৌযানে হামলার কথা জানায় তারা। খবর এএফপির।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আজ মস্কোর স্থানীয় সময় রাত ১১টায় (গ্রিনিচ মান সময় ০৮০০)
কৃষ্ণ সাগরের উত্তরাঞ্চলে স্নেক দ্বীপের পূর্বে ইউক্রেনের সৈন্য বোঝাই একটি স্পিডবোট বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই স্পিডবোডটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে তৈরি।

গত মাসে অর্থাৎ, জুলাইয়ে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চলাচলের চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় রাশিয়া। এরপর থেকেই কৃষ্ণ সাগরে তৎপরতা বাড়িয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
এর আগে, রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। তবে, হামলা ব্যর্থ করার দাবি জানিয়েছে মস্কো। বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন।
রাশিয়ার গণমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উইলিয়ার্ড মেরিন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কাচে পাঁচটি নৌযান বিক্রি করেছিল। আর এতে ইউক্রেনকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছিল খোদ ওয়াশিংটন। এসব নৌযান ২০১৫ সালে ইউক্রেনের ওডেশায় পাঠানো হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের আগ্রাসনের শুরুতেই স্নেক দ্বীপ দখলে নেয় রুশ বাহিনী। তবে, জুনে দ্বীপটি ছেড়ে দেয় রুশ বাহিনী। বিষয়টিকে নিজেদের জয় বলে দাবি করে কিয়েভ।