সাইফার মামলায় দুই সপ্তাহের রিমান্ডে ইমরান খান
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেওয়া তিন বছরের সাজা স্থগিত হলেও পাঞ্জাবের এটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। সাইফার মামলায় কারাগারে রয়েছেন তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনের এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দুই সপ্তাহের বিচারিক রিমান্ড দিয়েছে কারাগারে বসানো বিশেষ আদালত। ইমরান খানের আইনজীবীর বরাতে আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, সাইফার মামলার জন্য আজ এটক কারাগার প্রাঙ্গণে বিশেষ আদালত বসানো হয়। সেই আদালত মামলার তদন্তের জন্য পিটিআই প্রধানকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাগারের হেফাজতে রাখার আদেশ দেন।
গত ১৫ আগস্ট পিটিআই প্রধান ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে আসামি করে সাইফার মামলা করা হয়। মামলাটি একটি কূটনৈতিক নথির সঙ্গে সম্পর্কিত। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের পাঠানো ওই গোপন নথিটি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ইমরান খান জনসম্মুখে আনেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই মামলায় পিটিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পিটিআই প্রধানের আইনজীবী সালমান সাফদার আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা আদালতে জামিন আবেদন করেছি এবং শনিবার এর শুনানি হবে। কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচার করাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে আমরা আরেকটি আপিল করেছি। বিচারের কার্যক্রম একটি উন্মুক্ত আদালতে শুনানি করার জন্য আমরা বলেছি।’
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের এটক শহরে কারাবন্দি রয়েছেন। তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইমরান খান।