দ্বিতীয় ধাপে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের বর্জ্য পানি ছাড়ছে জাপান
জাপান দ্বিতীয় ধাপে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে ব্যবহার করা বা বর্জ্য পানি সাগরে ফেলতে শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৮ মিনিট থেকে এই পানি অপসারণ শুরু হয় বলে জানিয়েছে চুল্লিটির নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। খবর এএফপির।
২০১১ সালে এই পারমাণবিক চুল্লিতে সুনামি আঘাত হানার পর থেকে সেখানে জমা ১০ লাখ ৩৪ হাজার টন বর্জ্য পানি সাগরে ছেড়ে দেওয়ার কাজটি প্রথম ধাপে শুরু হয়েছিল গত ২৪ আগস্ট।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার সমর্থন নিয়ে জাপান জোর দিয়ে বলছে, ‘এই বর্জ্য পানি স্বাস্থ্যের জন্য কোনো ঝুঁকি তৈরি করবে না। তবে চীন বারবার এই তৎপরতার সমালোচনা করে জাপান থেকে সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।’
প্রাথমিকভাবে সাগরে বর্জ্যপানি ফেলা শেষ হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর। আর দ্বিতীয় ধাপে আরও প্রায় সাত হাজার ৮০০ টন পানি ফেলে দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেপকো জানায়, বর্জ্য পানি থেকে নিরাপদ মাত্রার ট্রাইটিয়াম ছাড়া আর সব রেডিওঅ্যাকটিভ (তেজস্ক্রিয়) উপাদান শোধন করা হয়েছে।
বর্জ্য পানি ফেলে দেওয়ার সময় কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি দাবি করে জাপান সরকারের মুখপাত্র হরিকাজু মাতসুনো আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বলেন, ‘পরিকল্পিত ও নিরাপদ উপায়ে প্রথম ধাপে পানি অপসারণ নিশ্চিত করা হয়েছে।’
মাতসুনো বলেন, ‘সরকার চুল্লিটির পর্যবেক্ষণ তথ্য-উপাত্তের ফলাফল স্বচ্ছতার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে বিনিময় করবে।’
এছাড়া চীনের প্রতি জাপানি খাদ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ারও আহ্বান জানানো হবে বলেও জানান মাতসুনো।
অন্যদিকে, জাপানের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক রাখা রাশিয়া দেশটি থেকে সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি নিষিদ্ধের বিষয়ে আইন প্রণয়নের চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা গেছে। আর সমুদ্রকে ময়লা ফেলার স্থান হিসেবে ব্যবহারের জন্য জাপানকে দোষারোপ করে আসছে চীন।
পারমাণবিক চুল্লিটি থেকে সব বর্জ্য ফেলে দিতে কয়েক যুগ সময় লাগতে পারে। নষ্ট হয়ে যাওয়া রিঅ্যাক্টরগুলো থেকে অতি বিপজ্জনক তেজস্ক্রিয় জ্বালানি ও আবর্জনা ফেলে দেওয়ার কাজ শুরু হবে বর্জ্য পানি অপসারণের পরপরই।