গাজা এখন দুই ভাগ হয়ে গেছে, দাবি ইসরায়েলের
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, গাজা এখন উত্তর গাজা ও দক্ষিণ গাজা এই দুই ভাগে বিভক্ত। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, বেসামরিক মানুষ এখনও দক্ষিণ গাজায় যেতে পারছেন এবং তাদের সেখানেই চলে যাওয়া উচিত।
এদিকে গাজায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এই অবস্থা হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি টেলিকম সংস্থা প্যালটেল জানিয়েছে।
গাজায় মৃতের সংখ্যা সমানে বাড়ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আবার জানিয়ে দিয়েছেন, বন্দিদের ফেরত না দিলে যুদ্ধবিরতি হবে না। নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যতক্ষণ আমরা বিজয়ী না হচ্ছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সামনে লড়াই করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
ইসরায়েলি বাহিনী থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলের সেনা প্রতিটি বাড়িতে ঢুকছে। কামান ও সাঁজোয়া বুলডোজার সবকিছু গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
গাজার বাসিন্দা আবু হাসেরিয়া জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েলের আক্রমণ দেখে মনে হচ্ছে যেন প্রবল ভূমিকম্প হচ্ছে। তারা পুরো এলাকা ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে।’
এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনিও ব্লিঙ্কেন প্রথমে পশ্চিম তীর ও পরে ইরাক যান। রোববার সন্ধ্যায় তিনি ইরাকে পৌঁছান। এই সফরের বিষয়ে আগে থেকে জানানো হয়নি। তিনি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানির সঙ্গে কথা বলেন।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজার সংঘাত যাতে এই এলাকার অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ পাঠানো হয়েছে, তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।
ব্লিংকেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে ইরানের মদতপুষ্ট হিজবুল্লাহ জানিয়ে দিয়েছিল, ব্লিঙ্কেনের সফরের ফলে সংঘাত আরও তীব্র হবে।
এদিকে, ইসরায়েলের মন্ত্রী ইলিয়াহুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘গাজায় পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার করা হোক।’ তারপরই প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, ‘ইলিয়াহুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিবৃতি, বাস্তবসম্মত নয়। আন্তর্জাতিক আইন মেনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আক্রমণ করছে। নিরাপরাধরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটাও তারা দেখছে।’