যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিতে হামাস-ইসরায়েল
গাজায় জিম্মি থাকা ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়ার শর্তে হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। আগামী চার দিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যে এসব পণবন্দিকে হামাস মুক্তি দিবে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
হামাসের সঙ্গে এই চুক্তির আওতায় অতিরিক্ত প্রতি ১০ জন বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে একদিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হবে। এই চুক্তি অনুমোদনের জন্য ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোর রাত নাগাদ বৈঠক চলে।
চুক্তি অনুমোদনে বৈঠক শুরুর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, বন্দি বিনিময়ে চুক্তিতে পৌঁছালেও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালায়। তাদের এই হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়। এ ছাড়া হামাস এই হামলায় আরও দুই শতাধিক লোককে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
এর জবাবে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় ১৪ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়। এর মধ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিশু রয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে, আজ ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর পর হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের ৫০ জন বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এ ছাড়া এই চুক্তির আওতায় মানবিক সাহায্যপণ্য নিয়ে কয়েকশত ট্রাককে গাজায় প্রবেশের সুযোগ দেবে ইসরায়েল। পাশাপাশি ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানি তেল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে ট্রাকগুলো। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েল গাজায় কাউকে গ্রেপ্তার বা হামলা করবে না বলে জানানো হয়েছে।
হামাসের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, চারদিনের যুদ্ধবিরতির সময় গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বিমান চলাচল প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
এদিকে বিশ্লষকরা বলছেন, ৫০ জন ইসরায়েলি নারী ও শিশু বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক আরও বন্দিকে মুক্তির পথ সুগম হলো।