মানহানির মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মানহানির একটি মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও এবারের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আট কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছে নিউইয়র্কের একটি আদালত। আদালতের রায়ে মামলার বাদী লেখিকা ই জিন ক্যারলকে যেন এই অর্থ পরিশোধ করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে ট্রাম্পের প্রতি। খবর এএফপির।
মামলায় আদালতের এই আদেশে জরিমানার যে পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা ক্যারলের দাবি করা এক কোটি ডলারের চাইতে অনেক বেশি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এই রায়কে ‘উপহাস’ হিসেবে বর্ণনা করে এর বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিন ঘণ্টারও কম সময় আলোচনা করে জুরি রায় প্রদান করেন। তবে আদালতের ক্লার্ক যখন ক্ষতিপূরণ ও শাস্তিমূলক রায় পড়ে শোনান, তখন ট্রাম্প আদালতে ছিলেন না। এর আগে অবশ্য তিনি সেখানে ছিলেন।
এক বিবৃতিতে লেখিকা ক্যারল বলেন, ‘এটি প্রতিটা নারীর জন্য একটি মহান বিজয়, যারা ছিটকে যাবার পর উঠে দাঁড়ায় এবং প্রতিটা ধর্ষকের জন্য একটি বিরাট পরাজয়, যারা একজন নারীকে সব সময় নিচে রাখার চেষ্টা করে।’
আদালতের আদেশে ট্রাম্পের প্রতি ক্ষতির দায়ে শাস্তি হিসেবে ক্যারলকে ছয় কোটি ৫০ লাখ ডলার দিতে বলা হয়। এ ছাড়া জনসাধারণের সামনে বাজে মন্তব্যের জন্য ৭৩ লাখ ডলার এবং নামকরা প্রতিষ্ঠানে সংশোধন কর্মসূচির জন্য খরচ হিসেবে এক কোটি ১০ লাখ ডলার প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী এলিনা হাব্বা বলেন, ‘আমি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষে দাঁড়াতে পেরে গর্ববোধ করছি। আমরা অবিলম্বে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।’