দ্বিতীয় দফায় গড়াল ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, কম ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড
অবশেষে দ্বিতীয় দফায় গড়াল ইরানের প্রেডিডেন্ট নির্বাচন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় পরবর্তী দফায় পৌঁছাল এই নির্বাচন। আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই) ফের হবে ভোটাভুটি। প্রথম ধাপে ছয় কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন বলে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এই হিসাব বলছে, ১৯৭৯ সালের অভ্যুত্থানের পর কম ভোটার উপস্থিতির দিক দিয়ে রেকর্ড করেছে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। খবর আল-জাজিরার।
এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটি বলছে, আজ শনিবার ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্যের পাশাপাশি জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৮ জুন) অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে না পারায় নির্বাচন গড়িয়েছে দ্বিতীয় দফায়। আগামী ৫ জুলাই দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় ভোট নেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের নির্বাচনি সদর দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, দুই কোটি ৪৫ লাখ ভোট গণনার পর দেখা গেছে, সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এক কোটির চার লাখ ভোট পেয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কট্টরপন্থী প্রার্থী সাইদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখের মতো ভোট।
এ ছাড়া দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ৬২ বছর বয়সী মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ ৩৩ লাখ ভোট পেয়েছেন। বাঘের গালিবাফ তেহরান শহরের সাবেক মেয়র। এ ছাড়া দেশটির ক্ষমতাধর প্যারামিলিটারি বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্য তিনি।
আরেক রক্ষণশীল ইসলামিক নেতা মোস্তফা পুরমোহাম্মদি পেয়েছেন দুই লাখ ছয় হাজার ৩৯৭ ভোট।
১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হলে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা ছিল দেশটিতে। সে হিসেবে ২৮ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে ছয় জনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির নেতৃত্বে গঠিত কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে দুই কট্টরপন্থী প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে নির্বাচনে লড়াই করেন চারজন।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থী ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় দফায় গড়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট। সে হিসাবে আগামী ৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় লড়বেন প্রথম দফায় এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী পেজেশকিয়ান এবং জালিলি।