গাজার স্কুলে আবারও ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৯
গাজা উপত্যকার একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দিয়েছে। গত চার দিনের মধ্যে চতুর্থবারের মতো ফিলিস্তিনিরা এ ধরনের হামলায় শিকার হলেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এই হামলার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। খবর এএফপির।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ওই এলাকায় একটি হামলা চালিয়েছে এবং ঘটনাটি পর্যালোচনা করছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা স্কুলে শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত আরও তিনটি হামলার কথা তারা স্বীকার করেছে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের কাছে আল নাসর হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, আবাসান এলাকার আল-আওদা স্কুলের প্রবেশপথে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। এই হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছে আর আহত হয়েছে আরও অনেকে।
হামাস পরিচালিত গণমাধ্যম থেকে অভিযোগ করা হয়, ইসরায়েল ‘ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে’। তারা জানিয়েছে, হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গতকাল মঙ্গলবারের (৯ জুলাই) এই হামলার বিবরণ দিতে গিয়ে মোহাম্মদ শুক্কুর নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘স্কুলটির প্রবেশপথে আমরা বসে ছিলাম। এ সময় কোনো সতর্ক সংকেত ছাড়াই বেশ কিছু রকেট বিস্ফোরিত হয়।’
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বিমান বাহিনী স্কুলটির কাছে ‘হামাসের সামরিক শাখার সন্ত্রাসীদের’ ওপর হামলা চালাতে ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অস্ত্রশস্ত্র’ ব্যবহার করেছে। পরে এক বিবৃতিতে তারা জানায়, পুরো ঘটনা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো থেকে জানা যায়, এর আগে বিভিন্ন স্কুলে হামলায় ২০ জন নিহত হয়। শনিবার গাজার মধ্যাঞ্চলীয় নুসেইরাতে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৬ জন নিহত হয়। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, সে সময় ওই এলাকায় দুই হাজার লোক অবস্থান করছিল। এর পরেরদিন গাজা শহরের হলি ফ্যামিলি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত হয়। এ ছাড়া সোমবার নুসেইরাতে আরও একটি স্কুলে হামলা চালানো হয়। তবে স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক স্থানকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজার স্কুলগুলোতে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শতাধিক লোক নিহত হয়েছে।