জাপানে সামরিক অবস্থান জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র
নিজেকে জাহির করতে চীনের বাড়ন্ত তৎপরতার মুখে ওয়াশিংটন ও টোকিও নিজেদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ রোববার (২৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জাপানে দেশটির সামরিক কমান্ড কাঠামো উন্নয়নের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। খবর এএফপির।
জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫৪ হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে; যারা সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার দূরের হাউয়াই ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডে রিপোর্ট করে। তবে আজ রোববার টোকিওতে লয়েড অস্টিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে যোগ দেবেন তাদের সমকক্ষ নেতাদের সঙ্গে ‘টু প্লাস টু’ পন্থায় আলোচনায় অংশ নিতে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বৈঠক থেকে একজন তিন তারকা কমান্ডারের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনীর নতুন সদরদপ্তর স্থাপনের ঘোষণা আসতে পারে।
যদি এমনটা হয় তবে তা জাপানের পরিকল্পিত যৌথ অপারেশনাল কমান্ড সেন্টার হিসেবে কাজ করবে এবং দুই দেশের সামরিক বাহিনীকে তাইওয়ান ও কোরীয় উপদ্বীপে সঙ্কট নিরসনে আরও চৌকস করে তুলবে।
চীনকে নিয়ে অস্বস্তি ও উত্তর কোরিয়া থেকে পাওয়া বিপদ সংকেতের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপান তার শান্তিবাদী অবস্থান থেকে সরে আসছে। এর অংশ হিসেবে প্রতিরক্ষা খরচ বাড়িয়েছে দেশটি, পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর সক্ষমতার দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা হোয়াইট হাউসে এক সম্মেলনে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন যুগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এ মাসে ব্লিঙ্কেন ও অস্টিন জাপানের পাশাপাশি ফিলিপাইন সফর করবেন প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্য নিয়ে। এই চুক্তির আওতায় দেশগুলো একে অন্যের ভূখণ্ডে সেনা মোতায়েনের সুবিধা পাবে। এ লক্ষ্যে এপ্রিলেই ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল একটি ত্রিপক্ষীয় সম্মেলন।
ফিলিপিাইনকে পাশে রেখে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিক্ততা অবসানে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। গত বছরের আগস্ট মাসে ক্যাম্প ডেভিডে ওই দেশগুলোর নেতাদের নিয়ে একটি আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।