অপপ্রচার বিতর্কে ব্রাজিলে এক্স নিষিদ্ধ
ব্রাজিলে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স (সাবেক টুইটার) নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটিতে নতুন আইনি প্রতিনিধির নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের বেঁধে দেওয়া সময়সীমায় তা করতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। খবর বিবিসির।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে ডি মোরেস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ‘অবিলম্বে ও সম্পূর্ণ স্থগিতের’ আদেশ দিয়েছেন, যতক্ষণ না তারা আদালতের সমস্ত আদেশ বাস্তবায়ন করবে এবং বিদ্যমান জরিমানা প্রদান করবে।
গত এপ্রিলে দেশটিতে বিচারক মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে বেশকিছু অ্যাকাউন্ট স্থগিতের আদেশ দেওয়ার পর এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল।
আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এক্সের মালিক ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘স্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং ব্রাজিলের একজন অনির্বাচিত-ছদ্মবেশী বিচারক রাজনৈতিক উদ্দেশে এটিকে ধ্বংস করছেন।’
ইলন মাস্ক এক্সের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গেও বিতর্কে জড়িয়েছেন। এই মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের সঙ্গেও বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ব্রাজিলের টেলিযোগাযোগ সংস্থার প্রধানকে এক্স প্ল্যাটফর্মটি স্থগিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। দেশটিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক্স আর ব্যবহার করা যাবে না বলে আশা করা হচ্ছে।
বিচারপতি মোরেস অ্যাপল ও গুগলকে তাদের অ্যাপ্লিকেশন স্টোর থেকে এক্স সরাতে এবং আইওস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে এটির ব্যবহার ব্লক করার জন্য পাঁচদিন সময় বেঁধে দিয়েছেন। তিনি যোগ করেন, প্ল্যাটফর্মটিতে ঢোকার জন্য ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) এর মতো উপায়গুলো ব্যবহার করা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
বিচারকের আদেশ অনুসারে, এক্স দেশটিতে একজন নতুন আইনি প্রতিনিধি নিয়োগ এবং ব্রাজিলের আইন লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।