সাও পলোতে প্রথম গ্লোবাল সাউথ মিডিয়া ফোরাম শুরু
ব্রাজিলের সাও পলো’তে সোমবার থেকে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল সাউথ মিডিয়া অ্যান্ড থিংক ট্যাংক ফোরাম। সহ-আয়োজক হিসেবে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি এবং ব্রাজিল কমিউনিকেশন কোম্পানি ‘উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন : গ্লোবাল সাউথের জন্য এক নব যাত্রা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)সহ ৭০টি দেশ ও অঞ্চলের ১৭০টি মিডিয়া আউটলেট, সরকারী সংস্থা, উদ্যোক্তা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৫০ জন প্রতিনিধি ফোরামে যোগ দেন।
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলোর মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নতুন আখ্যান তৈরি এবং মূল্যবোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বক্তব্য দেন।
মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আমরা সবাই ইতিহাস থেকে জানি যে, উদ্ভূত প্রতিটি সভ্যতা ও সংস্কৃতিরই নিজস্ব আর্থ-সামাজিক, অর্থনৈতিক, জাতিগত ও প্রাকৃতিক পরিচয় রয়েছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি অঞ্চল থেকে শ্রেষ্ঠতম সভ্যতার উদ্ভব হয়েছে এবং তারা তাদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ দ্বারা চিহ্নিত। তিনি বলেন, এই গ্রহের অনেকেই এখন সমতা, বৈচিত্র্য এবং মানবজাতি ও তার পারিপাশ্বিক অবস্থার অভিন্ন কল্যাণ এবং ভবিষ্যত অংশীদারিত্ব ভিত্তিক এক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার কথা ভাবছে।
মাহবুব মোর্শেদ আরও বলেন, উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, তবে এসবই আমাদের একমাত্র প্রয়োজন নয়। পাশাপাশি আমাদের এমন এক দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন ও বদলে যাওয়া প্রয়োজন, যা বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমাদের সংস্কৃতি, সভ্যতা এবং জাতির ধারণাকে তুলে ধরতে সহায়তা করতে পারে। এক নতুন বিশ্বে একটি জাতি বড় হোক বা ছোট হোক, প্রতিটি সংস্কৃতি, জাতিসত্তা এবং মূল্যবোধকে সমানভাবে বিবেচনা করা উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভার বার্তা পাঠ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিনহুয়া প্রেসিডেন্ট ফু হুয়া এবং ব্রাজিলের কমিউনিকেশন কোম্পানির প্রেসিডেন্ট জিন লিমা বক্তব্য দেন।
চীন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভেনিজুয়েলা, চিলি, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, উরুগুয়ে, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকবৃন্দ অনুষ্ঠানে বৈশ্বিক দক্ষিণ দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।