যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি হাইস্কুলে স্কুলে ১৪ বছর বয়সী ছাত্রের গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনায় বন্দুকধারীর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

জর্জিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির পুলিশের সন্দেহ বুধবারের গুলির ঘটনার সঙ্গে ওই কিশোরের বাবারও যোগ আছে। পরে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জর্জিয়া ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (জিবিআই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, বন্দুকধারী ওই কিশোরের ৫৪ বছর বয়সী বাবার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মর্ডার বা হত্যা এবং শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা ও অনিচ্ছাকৃত নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

জিবিআই ডিরেক্টর ক্রস হোসে বলেছেন, বাবা জানতেন, তার ছেলের কাছে অস্ত্র আছে। তার অভিযোগ হলো, ছেলের কাজের সঙ্গে বাবাও যুক্ত। ছেলের অস্ত্র রাখাকে অনুমোদন করেছিলেন তিনি।

এফবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন করে অভিযোগ ওঠা এই বাবা-ছেলেকে ২০২৩ সালেও স্কুলে গুলি চালানোর হুমকি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা। কিন্তু তখন তাদের গ্রেপ্তার করার মতো কোনো কারণ তারা খুঁজে পাননি।

২০২৩ সালের তদন্তে বাবা জানিয়েছিলেন, তার কাছে শিকার করার বন্দুক আছে, কিন্তু তার ছেলে সেগুলোর নাগাল পায় না। ছেলেও জানিয়েছিল, সে অনলাইন হুমকি দেয়নি।

জ্যাকসন কাউন্টির মেয়র জানিয়েছেন, তিনি ২০২৩ সালের মে মাসে রিপোর্ট পান, কিন্তু তার ভিত্তিতে সেই সময় বাবা-ছেলেকে অভিযুক্ত করার মতো কিছু ছিল না।

গত এপ্রিলে মিশিগানে স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনায় আদালত বলেছেন, স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলে বাবা-মা আইনগতভাবে দায়ী থাকবেন। 

২০২১ সালে অক্সফোর্ড হাইস্কুলে একজন কিশোর গুলি করে তার চারজন সহপাঠীকে হত্যা করেছিল। তার বাবা-মার কারাদণ্ড হয়েছিল। জুরিদের বক্তব্য ছিল, বাবা-মা বাড়িতে বন্দুক সুরক্ষিত রাখতে পারেননি। তাদের ছেলে মানসিক দিক থেকে অস্থির জানার পরেও তারা সেই কাজ করেননি।

বিশেষজ্ঞ ও আগ্নেয়াস্ত্র সুরক্ষা নিয়ে প্রচারকারীদের বক্তব্য, ওই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর ফলে স্কুলে সহিংসতার দায় বাবা-মার ওপর থাকবে, সেটা আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে।