লেবাননের সীমান্তে ইসরায়েলের ৮ সেনা নিহত
লেবাননের সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েলের আটজন সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। চলতি সপ্তাহে সহিংসতা শুরুর পর এটিই ইসরাইলের বড়ো ধরনের ক্ষতির ঘটনা। এদিকে, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী বুধবার (২ অক্টোবর) লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দাবি করেছে।
ইসরায়েলে মঙ্গলবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর উভয়পক্ষের এ সহিংসতা তীব্র রূপ নেয়। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তেহরানকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এই বড় ভুলের জন্যে ইরানকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
এদিকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান উপেক্ষা করে ইরান বলেছে, ইসরায়েল প্রতিশোধমূলক হামলা নিয়ে এগিয়ে এলে তারাও পাল্টা প্রতিক্রিয়ার জন্যে প্রস্তুত রয়েছে।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল চলমান গাজা যুদ্ধ থেকে তার নজর বর্তমানে লেবানন সীমান্তের দিকে সরিয়ে নিয়েছে। হিজবুল্লাহর সঙ্গে গত প্রায় এক বছরের গুলি বিনিময়ের কারণে হাজার হাজার ইসরায়েলি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ কারণে ইসরায়েল তার নাগরিকদের নিরাপদে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিতের চেষ্টা চালাচ্ছে।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের সুনির্দিষ্ট স্থল অভিযানের ঘোষণার একদিন পর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধে প্রথম সৈন্যের প্রাণ হারানোর ঘোষণা দেয় তেল আবিব। এ সংখ্যা বর্তমানে বেড়ে আট হয়েছে।
এদিকে হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, মারুন আল রাস গ্রামের দিকে এগিয়ে আসা বিস্ফোরকসহ ইসরায়েলের একটি ইউনিটকে তারা পিছু হটতে বাধ্য এবং রকেটসহ তিনটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৬৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।