মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইতিহাসের শুরুর দিকেই আছে তৃতীয় বার লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত
চলছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নিবার্চনের বৈতরণী পাড়ি দিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন ডেমোক্র্যাট পার্টির কমলা হ্যারিস অথবা রিপাবলিক্যান পার্টির ডোনাল্ড ট্যাম্প। কমলা জিতলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউস পাবে ৪৭তম ব্যক্তিকে আর ট্রাম্প জিতলে পাবে ৪৬তমকে। কারণ, এর আগে ৪৫তম ব্যক্তি হিসেবে হোয়াইট হাউসে উঠেছিলেন ডোনাল্ড ট্যাম্প।
নির্বাচনি মাঠের জরিপ বলছে, এবারের যে-ই হোয়াইট হাউসের অধিশ্বর হবেন না কেন, তাকে লড়তে হবে হাড্ডাহাড্ডি। তার প্রমাণ মিলেছে নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ডিক্সভিল নচে। ছোটো ও মাত্র ছয় ভোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই গ্রামে সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক কমলা হ্যারিস। সে হিসাবে দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হওয়ার স্বপ্নপূরণে কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকবে ট্রাম্পের। অন্যদিকে, কমলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে গড়বেন ইতিহাস। কারণ, তার আগে কোনো নারী দেশটির নিয়ন্ত্রক হয়নি।
সে যা-ই হোক, ট্রাম্পের এই তৃতীয়বারের নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয় যখন তিনি প্রার্থীতার ঘোষণা দেন। তবে, এর আগেও তার মতো তৃতীয়বার নির্বাচন করেছেন অনেকেই। একজন তো তিনবারের একবারও জয়ের মুখ দেখেননি। আবার কেউ কেউ হারতে হারতে জিতে গেছেন।
যদিও তৃতীয় বার লড়াইয়ের তালিকায় অনেকেই আছেন, তবে দেশটির ইতিহাসের শুরুতেই দেখা যায় এমন দৃশ্য। টমাস জেফারসন মার্কিন ক্ষমতায় আসেন ১৮০১ সালের ৪ মার্চ, থাকেন ১৮০৯ সালের ৪ মার্চ পর্যন্ত। দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের সময়কার ভায়েস প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডাম্স পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট হন জেফারসন। সে সময়ের নিয়ম ছিল—ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ী হবেন প্রেসিডেন্ট আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। সে হিসাবে অ্যাডামসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জেফারসন যিনি ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকানের হয়ে পরের নির্বাচনে জিতে মসনদে গিয়েছিলেন। তারপর তৃতীয় দফায় ফের জিতে দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসের অধিশ্বর হন তিনি।