ট্রাম্প-সমর্থক ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রকাশের অভিযোগ
নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালান ধনকুবের ইলন মাস্কের। একই সঙ্গে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট টানতে বিপুল পরিমাণ অর্থও ব্যয় করেছেন তিনি। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়িয়েছে। ভোট বিশেষজ্ঞরা এবং সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটররা বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মাস্কের মতো শীর্ষ মিত্ররা মিথ্যা ভোটদানের ভুল তথ্যের ঝড় তুলেছেন, যা ভোটদানের প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা নষ্ট করতে সহযোগিতা করছে এবং সম্ভাব্য সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ান এমন তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি বলছে, নির্বাচনের অখণ্ডতা নিয়ে সন্দেহের বীজ বপন করতে এবং জো বাইডেন হেরে যাওয়ার আগে ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচন চুরি করার চেষ্টা করছিল বলে দাবি করা ২০২০ সালের প্লেবুক ফের প্রকাশ করা হয়েছে। ট্রাম্প স্পষ্টভাবে এবং প্রমাণ ছাড়াই ঘোষণা করেছেন যে ডেমোক্র্যাটরা ‘প্রতারকদের দল’।
এএফপি, রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা স্থানীয় সময় গত সোমবার বলেন, এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলোয় ভুয়া তথ্য ছড়াতে মূল ভূমিকা পালন করেছে। এসব দোদুল্যমান রাজ্যই শেষ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-পরাজয় ঠিক করে দেবে। তবে তার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে ধনকুবের ইলন মাস্কের করা মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক দাবি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ বছর ২০০ কোটিবার দেখা হয়েছে। ‘সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট’ নামের অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা ও ভোটাধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীরা নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে এক্সসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর কর্তৃপক্ষকে নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ধরনের ভুল তথ্য সরিয়ে ফেলতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।