রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করছেন ট্রাম্প
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা (এইচএইচএস) দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা দপ্তর ওষুধ, ভ্যাকসিন, খাদ্য নিরাপত্তা থেকে গবেষণা ও স্বাস্থ্যে সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। কিন্তু গত আগস্টে তিনি সরে দাঁড়ান এবং ট্রাম্পকে সমর্থন করেন। তখনই ঠিক হয়েছিল, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তার প্রশাসনে থাকবেন আরএফকে জুনিয়র।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে এইচএইচএস দপ্তরের মন্ত্রী করার পর বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘অনেকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করছে ওষুধের কোম্পানি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফুড কমপ্লেক্সগুলো। তারা জনস্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। কেনেডি আবার আমেরিকাকে মহান ও স্বাস্থ্যবান করবেন।’
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কেনেডি পরিবারের সদস্য। পরিবশ-আইনজীবী হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি বেশ কিছু বড় সংস্থার বিরুদ্ধে সফল আইনি লড়াই করেছেন। গত দুই দশক ধরে তিনি বেশ কিছু ভ্যাকসিনের বিরোধিতা করে এসেছেন। এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আছে, যে ভ্যাকসিনকে তিনি ভয়ঙ্কর বলে মনে করেন।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র অবশ্য দাবি করেন, তিনি ভ্যাকসিন-বিরোধী নন। তিনি কখনো মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে মানা করেন না। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে নিজের বিরোধিতার কথা জানান। তিনি এটাও বলেছেন, কোনো ভ্যাকসিনই সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর নয়। শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় নীতি নির্দেশনা না মানার বিষয় নিয়েও সরব তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য দাবি করে, ভ্যাকসিনের জন্য প্রতি বছর ৫০ লাখ মৃত্যু ঠোকানো যায়।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র বলেছেন, তিনি পানীয় জল সরবরাহকারীদের বলবেন, তারা যেন জলে ফ্লোরাইড না মেশান। যদিও ফ্লোরাইড দাঁতকে শক্ত করে এবং সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে তার উপকারিতা আছে বলে মনে করা হয়।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র আরও এমন অনেক দাবি করেন, যা বিজ্ঞান সমর্থন করে না। যেমন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এইচআইভি এইডসের কারণ কি না? তিনি এটাও দাবি করেছেন, অ্যান্টি-ডিপ্রেশন পিল খাওয়ার জন্য স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনা বাড়ছে।