ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ গেল দুই শিশুর, ১০০ জনের বেশি নিহত
গাজা উপত্যকার আল-মাওসি এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুইটি শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় তাদের মা ও ভাই-বোন আহত হয়েছে। তথ্য বলছে, তারা একটি তাঁবুর মধ্যে আশ্রয় নিয়ে ছিল। সেখানেই হামলা হয়। নাসের হাসপাতালের চিকিৎসকরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। এরপর সেখানে নিরাপত্তাবিষয়ক উদ্বেগে আছেন স্বেচ্চাসেবকরা। এরইমধ্যে গাজার কেরেম আবু সালেমে সহায়তা পাঠানো স্থগিত রেখেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডাব্লিউএ)। খবর আল জাজিরার।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটি বলছে, ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে, নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে তারা গাজার কেরেম আবু সালেম (ইসরায়েলি ভাষায় কেরেম শালোম) ক্রসিংয়ের মাধ্যমে সহায়তা পাঠানো সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এই সীমান্ত পয়েন্টটি গাজায় সহায়তার প্রধান প্রবাহের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আরেকটি বিমান হামলায় উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবারের আক্রমণগুলির মধ্যে মোট নিহতের সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি হয়েছে।
হামাসের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে কায়রোতে অবস্থান করছে। সেখানে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আর ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে, যদিও ইসরায়েলি বাহিনী এর বেশ কয়েকটি বিরোধিতার ঘটনা ঘটিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যায় গাজায় অন্তত ৪৪ হাজার ৪২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ পাঁচ হাজার ২৫০ জন আহত হয়েছে। একই দিন হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলে অন্তত এক হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি নাগরিক অপহৃত হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত তিন হাজার ৯৬১ জন নিহত এবং ১৬ হাজার ৫২০ জন আহত হয়েছে।