পশ্চিমা দেশগুলো ‘আন্তরিক’ হলে পরমাণু আলোচনায় প্রস্তুত ইরান
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/01/31/iraaner_ptaakaa.jpg)
পশ্চিমা দেশগুলো আন্তরিক মনোভাব দেখালে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক ইরান’ এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি। এএফপির খবর।
ইসমাইল বাকায়ি বলেন, ‘আমরা বহুবার বলেছি, আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে অপরপক্ষ আন্তরিক হলেই কেবল এটি সম্ভব হবে।’
ইরান সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোকে একাধিকবার সংকেত দিয়েছে যে, তারা পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি সমঝোতায় আসতে ইচ্ছুক।
সাক্ষাৎকারে ইসমাইল বাকায়ি আশা প্রকাশ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের প্রতি একটি ‘বাস্তবিক দৃষ্টিভঙ্গি’ গ্রহণ করবেন। যদি নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়, তবে ইরানের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) মেনে চলার আর কোনো অর্থ থাকবে না।
গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরঘচি বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন যদি পরমাণু আলোচনা আবারও শুরু করতে চায়, তবে তেহরানের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
এদিকে, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প বলেন, আশা করি ইরান একটি চুক্তিতে আসবে। কঠিন কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বিষয়টির সহজে সমাধান সম্ভব বলে মনে করি।
২০১৫ সালে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। চুক্তি মোতাবেক ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়। শর্ত মেনে চলার বদলে সে সময় ইরানের ওপর আরোপ করা বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/01/31/iraan_inaar.jpg)
২০১৮ সালে অবশ্য একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তবে হোয়াইট হাউসে জো বাইডেন এলে পুরনো ওই চুক্তিতে ফেরার কথা বলেছিলেন তিনি। এ লক্ষ্যে শক্তিধর দেশগুলো বিভিন্ন সময় আলোচনা করলেও তা সফল হয়নি।
গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে চুক্তির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। গত কয়েক মাসে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ এ বিষয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনা করেছে।