রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি রক্ষায় ইউক্রেনের সামরিক প্রস্তুতি জরুরি : স্টারমার

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার না করলে যেকোনো শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করতে পারেন রাশিয়া—এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের জন্য চুক্তি ‘কেবল স্থায়ী’ হবে যদি ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ’ থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) লন্ডনের পার্মানেন্ট জয়েন্ট হেডকোয়ার্টারে ২০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ সামরিক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে কিয়ার স্টারমার এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে ইউক্রেনে আন্তর্জাতিক সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়, যারা দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক সমঝোতা নয়, ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য সামরিক প্রস্তুতিও জরুরি। অন্যথায়, পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করবেন—যেমনটা তিনি অতীতে করেছেন।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শান্তিচুক্তির জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে রাশিয়া বুঝতে পারে—শান্তিচুক্তি লঙ্ঘনের জন্য কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
বৈঠকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি ও ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ নামে পরিচিত ২৬ দেশের সামরিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, শান্তিচুক্তি হলে ইউক্রেনের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা বাহিনীকে ‘শান্তিরক্ষী’ না বলে ‘রিঅ্যাসুরেন্স ফোর্স’ বলা হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ব্রিটিশ টাইফুন যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পাঠিয়ে সেনাদের আকাশ প্রতিরক্ষা দেওয়ার প্রস্তাবও আলোচনা করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমা দেশগুলোকে আরও সুসংহত নীতি গ্রহণ করতে হবে। তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, ‘রাশিয়া অপ্রয়োজনীয় দাবি তুলে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছে।’
অন্যদিকে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী সোমবার সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া আলোচনার নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের শর্তের পার্থক্যের কারণে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।