আফগান সীমান্তে ১৬ জঙ্গিকে হত্যা করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী

আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তে ১৬ জন সশস্ত্র যোদ্ধাকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। খবর আলজাজিরার।
আজ রোববার (২৩ মার্চ) সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানকে কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী আফগান সরকারকে ধারাবাহিকভাবে অনুরোধ করে আসছে পাকিস্তান।
সেনাবাহিনী জানায়, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় শনিবার (২২ মার্চ) দিনগত রাতে সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়কালে এসব যোদ্ধা নিহত হয়েছে। সৈন্যরা কার্যকরভাবে তাদের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী তার সীমান্ত সুরক্ষিত করতে এবং দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি সাদিক খান দ্বিপাক্ষিক ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য দুই দিনের সরকারি সফরে কাবুলে থাকাকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
এই মাসের শুরুতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়ার মোহমান্দ ও ডেরা ইসমাইল খান জেলায় একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর দুটি আস্তানায় অভিযান চালায়। একসময় আফগান তালেবানদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচিত হতো পাকিস্তান, কিন্তু গত তিন বছরে তাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি দেখা যাচ্ছে।

২০০৭ সালে আত্মপ্রকাশকারী পাকিস্তান তালেবান বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) কার্যকলাপ রোধে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ইসলামাবাদ আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে দায়ী করে আসছে। শুধু ২০২৪ সালেই পাকিস্তান ৫০০টির বেশি হামলা করা হয়েছে, যার ফলে বেসামরিক নাগরিক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে।
প্রায়ই এ ধরনের হামলায় আফগান নাগরিকদের জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছে পাকিস্তান সরকার এবং দাবি করে আসছে যে, কাবুল টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে। কিন্তু, আফগান তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।