মোদি যুদ্ধের ভান ধরতে পছন্দ করেন : ভারতীয় বিশ্লেষক

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় করপোরেট টিভি চ্যানেলগুলোতে বাজছে যুদ্ধের দামামা। উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বিজেপির অভ্যন্তরেও। ঠিক তখনই শান্ত কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে ভারতীয় বিশ্লেষকের মন্তব্যে।
পহেলগামের মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। তাদের মতে, রাজনৈতিক লাভের জন্য যুদ্ধের ভান করা হলেও, প্রকৃত যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম। খবর পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনের।
তবে, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হতে পারে এবং সীমান্ত এলাকার কৃষকদের শান্তি বিঘ্নিত করে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি পুনরায় শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক শান্তির দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তিসঙ্গত ও আশ্বস্তকারীদের মধ্যে অন্যতম ভারতীয় সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক প্রবীণ সাহনি। তিনি যুদ্ধের সম্ভাবনা কম হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ তুলে ধরেন, যার মধ্যে চীন অন্যতম প্রধান কারণ।

সাহনি বলেন, ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পরিবর্তনের ঘটনা পাকিস্তানের চেয়ে চীনকে বেশি ক্ষুব্ধ করেছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে গালওয়ান সংঘর্ষ তারই ফল।
সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, চীন সীমান্তে প্রচুর সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং ভারত তাদের তাৎক্ষণিকভাবে সরাতে পারবে না। তবে এর মানে এই নয় যে, যুদ্ধের দামামা শিগগিরই থেমে যাবে।
‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুদ্ধের ভান ধরে রাখতে পছন্দ করেন, যা তার রাজনীতির জন্য সুবিধাজনক’, বলেন প্রবীণ সাহনি।