রামগড় স্থলবন্দরের পরবর্তী কার্যক্রম কমিটির সিদ্ধান্তে : সাখাওয়াত হোসেন
নৌপরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, রামগড় স্থলবন্দর নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংক, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে। এ স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে তা নিরূপণে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সিদ্ধান্তে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
গত ১৪ আগস্ট এ স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পরাপার উদ্বোধনের কথা থাকলেও জুলাই বিপ্লবের পর তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
উপদেষ্টা বলেন, ভারত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেনার লোড করে রামগড় স্থলবন্দরের মাধ্যমে সাব্রুম হয়ে ভারতের সেভেন সিস্টারে পণ্য পরিবহণ করার উদ্দেশে মূলত এ স্থলবন্দর নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কিছু আমদানি করবে কি না এবং এ বন্দর ব্যবহার করে যাত্রী পারাপারের বিষয়টিও কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রহণ করা হবে।
রামগড় স্থলবন্দর কবে চালু হবে এবং এর পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে তা বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রহণ করা হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
ইতোমধ্যে বন্দর চালু করার জন্য রামগড়ে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ইমিগ্রেশন ভবনসহ প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। রামগড় থেকে রারৈয়ারহাট পযন্ত রাস্তা চারলেনে উন্নীত করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মানজারুল মান্নান, গুঁইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম আবুল এহসান, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েলসহ ঊর্ধ্বতন কমকতারা উপস্থিত ছিলেন।