পরাগ রিছিলের কবিতা
কল্পনা
শুনেছি, পৃথিবী সৃষ্টির পেছনে ছিল ঈশ্বরের মহাপরিকল্পনা—
কল্পনার হাত—এমনকি কোনোকিছু শূন্য থেকে শুরু করতে চাইলেও!
স্বমৈথুনের পূর্বে, প্রত্যক্ষ অনুভব করি—ভাবী প্রয়োজনীয়তা, আজকাল
‘কল্পনার শক্তি’ তীব্রভাবে আমাকে ভাবায়...।
জীবনী
মাটিও জানত না
বীজে কি লুকিয়ে ছিল
বৃষ্টির পরই
পত্র গজালো।
জীবাণু
মাথা করে ভার
ছুটে চলে রক্তে—
শিরা-উপশিরায়
কলার থোর যেন
বর্শা বিদ্ধ করবে!
রক্তচক্ষু ডানা মেলে
তাড়া করতে চায়—
যে দিকে পালাই
সেদিকেই ধায়...।
মাংরুদাম
যেখানে শুয়ে আছেন পিতামহ
সেখানে মাথা তুলেছে বড় গাছ—
পাখিরা করছে বাস, বাচ্চাসহ
কাটতে আসবে কেউ করেনি আঁচ
বিস্তার করে ডালপালা দিচ্ছিল
অক্সিজেন, নিচে তাঁর উঁইঢিবি
ঝোপঝাড়, পিঁপড়ে, বনমোরগ
মাশরুম—বাঘডাশেরও ঘুম ছিল।
যদি বনই কেটে উজার-উদাম
কোথায় থাকবে পাখপাখালি?
আত্মার স্মৃতি কিবা মাংরুদাম...।
প্রকৃতি ম্রো
সবুজ গাছ বুকে নিয়ে গিরি
সুপেয় পানি বয়ে চলে ঝিরি
পাহাড়ে উঁকি দেয় কালো ঝড়—
ঝিরি বন্ধে ফেলে যাবে বাড়িঘর?
গাছ থেকে দালান হতে পারে বড়?
জীবন বাঁশি প্লুং—প্রকৃতিই তো ম্রো!