বইমেলায় বৃষ্টি
অমর একুশে বইমেলার ১৩তম দিন আজ রোববার। ছুটির দিন না হওয়া সত্ত্বেও মেলায় বইপ্রেমীদের বেশ ভিড় ছিল। তবে সন্ধ্যা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নামে বৃষ্টি। আর মুহূর্তে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন বই সামলাতে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে প্রায় ৭টা পর্যন্ত বৃষ্টি চলে।
বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে স্টলগুলোতে পলিথিন দিয়ে বই ঢেকে সাময়িক সময়ের জন্য বেচাকেনা বন্ধ করে দেয়। এ সময় দেখা যায়, বিভিন্ন স্টলের ছাউনির নিচে দর্শনার্থী, বইপ্রেমীদের আশ্রয় নিতে।
মেলায় আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ তৌফিক বলেন, ‘মেলায় আসলাম, বইও কিনলাম। কিন্তু এখন বৃষ্টির কারণে আটকা পড়েছি, বাসায় যেতে পারছি না।’
মেলায় আসা চাকরিজীবী জান্নাতুল আদনান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অফিস শেষ করে বইমেলায় এলাম। এসে তো এখন বিড়ম্বনায় পড়ে গেলাম।
এদিকে কিছু কিছু স্টলের ভেতর পানি ঢুকে পড়েছে। কোনো কোনোটির সামনের অংশে জমে গেছে পানি। কোনো স্টলের ভেতরে টানানো হয়েছে পলিথিন।
আজকাল প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী দেবব্রত পাল বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে একটু তো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্টলে পানিও ঢুকে গিয়েছে। তবে সময়মত বইগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির সময়টাতে বিক্রি কমে যায়। মেলায় এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।’
নতুন বই ৭২টি
আজ রোববার মেলার ১৩তম দিনে নতুন বই এসেছে ৭২টি। বইমেলায় বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদের উপর মৌলবাদী চক্রের সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে আজ বিকেল ৫টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তাঁকে স্মরণ করা হয়। লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের যৌথ উদ্যোগে বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের তথ্যকেন্দ্রের সামনে আয়োজিত এ সভার শুরুতে তাঁর স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, কবি আসলাম সানী, কবি মোহন রায়হান, কবি প্রদীপ মিত্র, কবি হাসান আল আবদুল্লাহ, কবি প্রত্যয় জসীম, আকিদুল ইসলাম, হালিমদাদ খান, সাংবাদিক জ. ই. মামুন, মোশাররফ হোসেন, প্রকাশক হুমায়ুন কবীর, শায়লা রহমান তিথি, অমর একুশে বইমেলা ২০২২-এর সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ এবং হুমায়ুন আজাদের কন্যা মৌলি আজাদ। স্বরণসভায় সভাপতিত্ব করেন আগামী প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী ওসমান গনি। হুমায়ুন আজাদের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী শিপ্রা রহমান।
এ সময় বক্তারা বলেন, হুমায়ুন আজাদকে হত্যাচেষ্টার বিচার অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং তাঁর আদর্শে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমাজ-রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই তাঁকে যথাযোগ্যভাবে স্মরণ করা হবে।