কুরোসাওয়া কথা
ঘূর্ণিঝড়
ভূমিকা
জাপানি মাস্টার ফিল্মমেকার আকিরা কুরোসাওয়া (২৩ মার্চ ১৯১০-৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮)। বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম স্বতন্ত্র ও প্রভাববিস্তারী নির্মাতা। ৫৭ বছরের ক্যারিয়ারে নির্মাণ করেছেন ‘রশোমন’, ‘সেভেন সামুরাই’, ‘ড্রিমস’সহ ৩০টি মহাগুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম। নিজ জীবনের একান্ত কথা তিনি জাপানি ভাষায় লিখে গেছেন যে গ্রন্থে, সেই আত্মজীবনীটির ইংরেজি অনুবাদ ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮০ দশকের শুরুতে। সেই গ্রন্থের পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদ, ‘কুরোসাওয়া কথা’ শিরোনামে, ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হচ্ছে এখানে। অনুবাদ করেছেন রুদ্র আরিফ।
জ্ঞানবুদ্ধির বিচারে ভাইয়ার সঙ্গে আমার ছিল১০ বছরের ব্যবধান; অথচ বাস্তব হিসেবে আমাদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান ছিল মাত্র চার বছরের। ফলে হঠাৎ করেই যখন একজন বালকের চেয়ে, ছোট আর একটা পুঁচকে বাচ্চার চেয়ে বড় যখন হয়ে উঠলাম, তখন আমি প্রাইমারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র, আর ভাইয়া সদ্যই ভর্তি হয়েছেন হাইস্কুলে। এ সময় এমন এক কাণ্ড ঘটল— যেটির কথা কেউ কখনো ভাবতেও পারিনি।
আগেই বলেছি, ছাত্র হিসেবে ভাইয়া ছিলেন ভীষণ মেধাবী। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনীর পরীক্ষায় তিনি টোকিও শহরের সব প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধা তালিকায় অর্জন করেছিলেন তৃতীয় স্থান। আর ষষ্ঠ শ্রেণিতে অর্জন করেন প্রথম স্থান। তবু দেশের শীর্ষস্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে, ফার্স্ট হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাননি তিনি; পরিণামে টোকিও ইমপেরিয়াল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগও হারান।
এই ঘটনা পুরো পরিবারের কাছে একটি দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দিয়েছিল; বাবা একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন। বাড়ির আবহ কী রকম অচেনা হয়ে উঠেছিল, মনে পড়ে আমার। যেন আচমকাই বয়ে গেছে কোনো ঘূর্ণিঝড়; সবকিছু ছিড়ে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে। বাবা শূণ্য দৃষ্টিতে আনমনা হয়ে তাকিয়ে থাকতেন; মা সারাবাড়িতে পায়চারি করতেন উদ্ভ্রান্তের মতো; আর আমার বোনেরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতেন ফিসফিসিয়ে; এবং ভাইয়ার চোখে চোখ রাখতেন না একদমই। এ ঘটনার প্রতি অযৌক্তিক ক্রোধ ও অপমানের আজব এক অনুভূতি হয়েছিল আমারও।
[ভর্তি পরীক্ষায় ভাইয়া কীভাবে ফেল করলেন— এখনো মাথায় ঢুকে না আমার। পরীক্ষার কোনো প্রশ্ন কখনোই তার কাছে কঠিন মনে হয়নি এর আগে; এবং এই পরীক্ষাটির পরও তাকে মনে হয়েছে, আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর যেন। এ ঘটনাটির শুধু দুটি ব্যাখ্যাই আমি দাঁড় করাতে পারি : একটি হলো, চূড়ান্ত বাছাই প্রক্রিয়ায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সন্তানদের অগ্রাধিকার দেওয়া; আর অন্যটি হলো, মৌখিক পরীক্ষায় আমার আত্মাভিমানী ও ব্যক্তিত্ব-সচেতন ভাইয়ার জবাবগুলো কোনো-না-কোনোভাবে পরীক্ষাটির টেস্টিং স্ট্যান্ডার্ডকে সন্তুষ্ট করতে না পারা।]
বাজে ব্যাপার হলো, ভাইয়ার তখনকার মেজাজ কিংবা ব্যবহারের কোনোকিছুই এখন আর আমার মনে পড়ে না। নিজেকে সম্ভবত নিজের অভ্যস্ত উদাসীনতার ভেতর গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই ঘটনাটি তাকে ভয়ানকভাবে মর্মাহত করেছিল, একেবারেই কুঁকড়ে দিয়েছিল। আমার এ সন্দেহের নেপথ্যে রয়েছে এ ঘটনার পরপরই ঘটা একটি বিষয় : তার ব্যক্তিত্ব বদলে গিয়েছিল আচমকাই এবং নাটকীয়ভাবে।
বাবার পরামর্শ মেনে, টোকিওর ওয়াকামাৎসু-চু অঞ্চলের সেইজো মিডল স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এই স্কুলটি ছিল অনেকটা মিলিটারি একাডেমির মতো। আমার বিশ্বাস, এই রেজিমেন্টেশনের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন ভাইয়া। মনে হয়েছিল, তার মধ্যে সদ্য বিকশিত হতে থাকা সাহিত্যের প্রতি দুর্নিবার টানের কারণে, এ বেলা এসে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শিকেয় তুলেছিলেন তিনি। কেন না, বাবা আর ভাইয়ার মধ্যে বাগবিতণ্ডা লেগেই থাকত।
আমার বাবা ছিলেন ইমপেরিয়াল আর্মিস টোয়ামা একাডেমির প্রথম গ্রাজুয়েটিং ক্লাসের শিক্ষার্থী; পরবর্তীকালে তিনি শিক্ষকও হয়েছিলেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি এতই গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন যে, তাঁর কিছু কিছু ছাত্র আর্মিতে জেনারেল র্যাংক পর্যন্ত অর্জন করেছেন; এবং তাঁর শিক্ষামূলক মূলতন্ত্রগুলো ছিল ভয়াবহ রকমের কষ্টসহিষ্ণু। ফলে বিদেশি সাহিত্যের প্রতি প্রবল মোহাবিষ্ট হয়ে ওঠা ভাইয়ার সঙ্গে বাবার যে সরাসরি একটা ঝগড়া বাঁধবেই— এ তো অনিবার্য ছিল।
বাবা ও সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কে এমনতর ফাঁটলের উদ্দেশ্য-বিধেয় তখন না বুঝতে পেরে, মন খারাপ নিয়ে চুপচাপ দেখে যাওয়া ছাড়া আমার আর কিছুই করার ছিল না। কিন্তু যখনই এই বিধ্বংসী বাতাস পুরো বাড়িটিকে আচ্ছন্ন করে ফেলল, তখন আরেকটি শীতল ঝড় সুতীব্রভাবে বয়ে যাওয়ার জন্য যেন ছিল ঘাপটি মেরে।
আমার সবচেয়ে বড় আপুর সন্তানটি বয়সে ছিল আমারই সমান; তার মানে, আমি যখন জন্মাই, আপু ততদিনে বিয়ে করে বাড়ি ছেড়েছেন। আমার সবচেয়ে বড় ভাইটিও বয়সে আমার চেয়ে অনেক বড় ছিলেন; ফলে মানসিক ও শারীরিকভাবে আমি যখন জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন হলাম, তত দিনে তিনি বাড়ি থেকে অনেক দূরে চলে গেছেন, আর বলতে গেলে কালেভদ্রেই দেখা পেতাম তার। আমার সেজ ভাইয়া আমি জন্মের আগেই অসুখে ভুগে মারা গেছেন। ফলে যে ভাইবোনদের সঙ্গে আমি বড় হয়ে উঠেছি, তারা হলেন আমার ছোটভাইয়া— যার কথা এতক্ষণ ‘ভাইয়া’ হিসেবে বলে এসেছি, আর ছিলেন আমার তিনজন বড় আপু। সংসারে সবার ছোট ছিলাম আমি।
আমার সব আপুর নামের শেষেই উচ্চারণে ‘য়ো’ শব্দটি রয়েছে— যা কি না সেই ‘প্রজন্মটির’ কিংবা সে সময়ের ‘প্রতিনিধিত্বের’ই অর্থবাহী। আমার জন্মের আগেই বাড়ি ছাড়া সবচেয়ে বড় আপুটির নাম দিয়ে শুরু করলে, আপুদের নাম হলো— শিগেয়ো, হারুয়ো, তানেয়ো ও মোমোয়ো। তবে আমি মূলত ‘আপুরা’ বলতে বাড়িতে থাকা তিন বোনের কথাই সবসময় বুঝেছি, আর তাদের ডেকেছি— ‘বড় আপু’, ‘মেঝ আপু’ ও ‘ছোট আপু’ নামে। আগেই বলেছি, ভাইয়ার সঙ্গে আমার কোনো লেনদেন ছিল না; ফলে আমি সবসময় আপুদের সঙ্গেই খেলাধুলা করতাম। [আমি এখনো প্যাটি-কেক ও কেট’স ক্রেডল খেলাটা বেশ ভালো খেলতে পারি। আমি যখন এখনকার সঙ্গী-সাথি কিংবা সিনেমার ক্রুদের নিজের এই পারদর্শিতার নমুনা দেখাই, তাদের কাছ থেকে দেখা পাই একই রকম অবাক বনে যাওয়া প্রতিক্রিয়া। আমি নিশ্চিত, আমার ‘কোনবেতো-না’ পিরিয়ডের কাহিনী পড়ে তারা আরো বেশি অবাক হবেন।]
আপুদের মধ্যে ছোট আপুর সঙ্গেই আমি সময় কাটিয়েছি বেশি। আমার স্পষ্ট মনে আছে, উমোরি অঞ্চলের যে স্কুলটিতে বাবা পড়াতেন, সেখানে একদিন আমরা খেলা করছিলাম। আমরা একটা চোঙ্গা-আকৃতির স্থাপত্যের কিনারে পৌঁছে গিয়েছিলাম, এবং আচমকাই এক ঘূর্ণি হাওয়া এসে, আমাদের দুজনকে হ্যাঁচকা টানে উঠিয়ে ফেলেছিল শূন্যে। তারপর মুহূর্তকাল বাতাসের মধ্যে ভাসিয়ে নিয়ে, মাটির ওপর আছড়ে দিয়েছিল ফেলে। আপুর হাতটি শক্ত করে ধরে, সারা রাস্তায় কাঁদতে কাঁদতে, একদৌড়ে বাড়ি ফিরেছিলাম আমি।
আমি যখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি, আমার এই আদরের আপুটি পড়লেন অসুখে। তারপর আচমকাই, যেন কোনো মন্দ বাতাস তাকে আলতো করে ছুঁয়ে ফেলেছিল, মরে গেলেন তিনি। তাকে দেখার জন্য জুনতেন্দো হাসপাতালে গেলে, তার মুখে লেগে থাকা যে হতাশার হাসিটি দেখতে পেয়েছিলাম— তা কখনোই ভুলতে পারব না।
না আমি ভুলতে পারব না, মার্চের তিন তারিখে আয়োজিত ডল ফেস্টিভ্যালে তার সঙ্গে খেলা করে কাটানো সময়গুলো। ফেস্টিভ্যালের জন্য সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীর প্রতিনিধিত্বশীল পুতুলগুলোয় ভরা একটি হের্লরুম ছিল আমার বাড়িতে। পুতুলের মধ্যে আরও ছিল তিনটি কোর্ট লেডি, পাঁচটি কোর্ট মিউজিশিয়ান, একটি উরাশিমা তারো [রিপ ভ্যান উইঙ্কেল গল্পটির মতো এক ধরনের সমুদ্রের নিচের ‘মানুষ’— যে পানিতে সাঁতার কাটে কচ্ছপ হয়ে, আর বাড়ি ফেরে বৃদ্ধ মানুষের রূপে] এবং গলায় শিকল পরানো একটি পার্কেনিজ কুকুর, সঙ্গে রাখা একটি কোর্ট লেডি। স্বর্ণের দুই জোড়া ফোল্ডিং স্ক্রিন, দুটি ল্যান্টার্ন এবং উৎসবের খাদ্যায়োজনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ডিশ ও পাত্র সহকারে পাঁচটি ছোট ছোট স্বর্ণের বার্ণিশকৃত ট্রেও ছিল সেখানে। এমনকি ছিল রূপার একটি পুঁচকে কাসন— সেটি ছিল আমার হাতের তালুর মতো ছোট।
লাইট নিভিয়ে দেওয়ার পর, ল্যান্টার্ন থেকে আসা মোমের আলোর নরম বিকিরণে অন্ধকারাচ্ছন্ন রুমটি ভরে গেলে, সাজানো পুতুলগুলোকে সেগুলোর পাঁচ স্তরবিশিষ্ট স্ট্যান্ডে মনে হতো টকটকে লাল পশমের মতো। ওরা যখন কথা বলে উঠত; মনে হতো যেন একেবারেই জীবন্ত হয়ে ভূতুরে আবহ ছড়িয়ে দিচ্ছে; আর এই সূক্ষ্ম সৌন্দর্য আমার মনে খানিকটা আতঙ্ক ছড়াতেও শুরু করত। পুতুলের প্রদর্শনী শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে, ছোট আপু আমাকে ডেকে এনে কাছে বসাতেন, ট্রেগুলোর একটি রেখে দিতেন আমার সামনে, এবং পরিবেশন করতেন পিতলের থালাটি। পুচকে পুতুলের আকারের কাপগুলোর একটিতে এক ধরনের মিষ্টি পানীয় এক ঢোক পান করার আহ্বান জানাতেন আমাকে তিনি।
বাড়িতে থাকা আমার তিন বোনের মধ্যে ছোট আপু ছিলেন সবচেয়ে সুন্দরী; ভীষণ ভদ্র ও দয়ালু মনের মানুষ ছিলেন তিনি। তার সৌন্দর্য ছিল যেন কাচের মতো স্বচ্ছ, সূক্ষ্ম ও পলকা; কোনো প্রতিরোধ ছিল না এর মধ্যে। ভাইয়া যখন স্কুলের কড়িকাঠ থেকে পা হড়কে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন, আমার এই বোনটিই তখন কান্নাকাটি করে বলেছিলেন, ভাইয়ার বদলে বরং নিজেই চান মরতে। এমনকি এখন যখন তার কথা আমি লিখছি, আমার চোখ ভেসে যাচ্ছে কান্নায়, আমি বারবার নাক ঝাড়ছি।
তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যেদিন হলো, বুদ্ধ মন্দিরটির মূল হলরুমে আমার পরিবারের সবাই ও সব আত্মীয় জড়ো হয়েছিলেন পুরোহিতের ধর্মীয় মন্ত্রজপ শোনার জন্য। তাঁর মন্ত্রপাঠ যখন অনেকটা সোরগোলে পরিণত হয়েছিল কাঠের ঢাক বাজানোর ও ঘণ্টাধ্বনির সংমিশ্রণে, তখন আচমকাই হাসতে হাসতে মূর্চ্ছা যাচ্ছিলাম আমি! বাবা, মা ও অন্য বোনেরা আমার দিকে রাগি চোখে তাকালেও, কিছুতেই থামাতে পারছিলাম না হাসি। ভাইয়া আমাকে ধরে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বাইরে; তখনো হাসি থামেনি আমার। হাসতে হাসতে ভয়াবহ খিঁচুনি উঠেছিল। কিন্তু ভাইয়াকে এতটুকুও রাগতে দেখিনি তখন। তিনি আমাকে মূল দরজার বাইরে ফেলে রেখে, মূল হলরুমে চলমান ধর্মীয় অনুষ্ঠানটিতে ফিরেও যাননি : অথচ আমি এমনটাই আশা করেছিলাম। বরং তিনি ঘুরে দাঁড়িয়ে, পেছনের দিকে তাকিয়ে, উচ্চকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আকিরা, চলো, আরো দূরে কোথাও চলে যাওয়া যাক।’ মন্দিরের গেটের পাকা রাস্তা ধরে, দ্রুত বেগে ছুটে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
আরো সামনের দিকে যেতে যেতে, একটা শব্দই তিনি ছুড়ে দিয়েছিলেন আমার দিকে, ‘ইডিয়ট!’ আমি ভীষণ খুশি হয়ে গিয়েছিলাম। যেভাবে আমি অমন হাসতে শুরু করেছিলাম, আমার কাছে নিজেকে আসলে সেটাই [ইডিয়ট] মনে হয়েছিল। পুরো বিষয়টিকেই আমার কাছে উদ্ভট রকমের হাস্যকর লাগছিল। ফলে ভাইয়ার মন্তব্য শুনে স্বস্তি পেয়েছিলাম আমি। অবাক হয়ে ভাবছিলাম, আমার বোনটি যদি মূল হলরুমে চলা এসব আচার-অনুষ্ঠান দেখতে পেতেন! ১৬ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন তিনি। কী এক আজব কারণে, মৃত্যুর পর তার লাভ করা বৌদ্ধ-ধর্মীয় নামটি আমার মনে রয়ে গেছে : ‘তো রিন তেই কো শিন নিয়ো’ [‘জাম বনের ধার্মিক সূর্যকিরণ মাখা আন্তরিক নারী’]।
(চলবে)