মেলা কথা
পাঠক হারাচ্ছে লিটলম্যাগ চত্বর
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/02/13/photo-1518502808.jpg)
অমর একুশে গ্রন্থমেলা এখন প্রতিদিনই লেখক-পাঠক-প্রকাশকের পদচারণায় মুখর হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইয়ের দোকানগুলোতে পাঠকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। কিন্তু অন্যদিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ অনেকটাই শান্ত পরিবেশ। লোকজনের সমাগম কম। লিটলম্যাগ চত্বর আরো ফাঁকা। প্রাণবন্ত মেলার মাঝে এ যেন বিচ্ছিন্ন এক জগৎ।
ষাটের দশক থেকে বাংলাদেশে লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সূত্রপাত। দুই যুগ আগে বইমেলায় লিটলম্যাগ প্রকাশনার জন্য আলাদা চত্বর নির্ধারণ করে বাংলা একাডেমি। একসময় প্রতি সন্ধ্যায় তরুণ লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের আড্ডায় ভরে উঠত বইমেলার এই চত্বর; কিন্তু এখন আর তা হচ্ছে না।
লিটলম্যাগ চত্বরে মেঘ প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাদিম হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অন্য চত্বরের তুলনায় এ চত্বর অবহেলিত। এই চত্বরটির উন্নয়নে বাংলা একাডেমির কোনো উদ্যোগ নেই। নানা নিয়মে বেঁধে রেখেছে প্রকাশনীগুলোকে। তাই ধীরে ধীরে এ চত্বর তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে।’
লিটলম্যাগ চত্বরে লোকসমাগম নিয়ে একই রকম কথা বললেন বাংলা একাডেমির সহকারী সম্পাদক আবিদ করিম মুন্না। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ চত্বরের পাঠক সমাগম এখন পর্যন্ত চোখে পড়ার মতো নয়। আশা করা যাচ্ছে, সামনের দিনগুলোতে পাঠকের উপস্থিতি বাড়বে। বইমেলার পুরো মেলা যদি এক জায়গায় হতো, তবে ভালো হতো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রান্তে বেশির ভাগ প্রকাশনী, তাই সেখানে ঘোরাফেরা শেষ করে ওখান থেকে বই কিনে চলে যাচ্ছে পাঠক। এ প্রান্তে পাঠক তুলনামূলক কম আসছেন।’
লিটলম্যাগ চত্বরে বই কিনতে আসা মোহাম্মদ আসকর হোসেন বলেন, ‘লিটলম্যাগ চত্বরে লিটল ম্যাগাজিন এবং নতুন কবি-লেখকদের বই পাওয়া যায়। নতুন বইয়ের খোঁজে আমি এখানে এসেছি।’
এবার বইমেলায় ১৩৬টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল পেয়েছে। তবে বেশিরভাগ স্টলই মেলায় এসেছে পুরোনো সংখ্যা নিয়ে। অনেকে বিক্রি করছে বিচিত্র সব বই।
বইমেলায় ১২তম দিনে বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী নতুন বই এসেছে ১২৬টি। এগুলোর মধ্যে গল্প ১৮টি, উপন্যাস ২১টি, প্রবন্ধ ৫টি, কবিতা ৩৩টি, গবেষণা ২টি, ছড়া ২টি, শিশুসাহিত্য ৪টি, জীবনী ৩টি, রচনাবলি ২টি, মুক্তিযুদ্ধ ৫টি, বিজ্ঞান ১, ইতিহাস ১২টি, চিকিৎসা স্বাস্থ্য ৪টি, ধর্মীয় ১টি, অনুবাদ ২টি, সায়েন্স ফিকশন ২টি অন্যান্য বিষয়ে ৭টি।