কাপ্তাই বাঁধ : বর-পরং
সমারীর ব্যাখ্যানে “বর পরং” যা কাপ্তাই বাঁধকে নিয়ে ঘটনাপ্রবাহ। একটি জাতিগোষ্ঠির জীবনপ্রবাহে একটি মোড় ফেরানো অধ্যায়। যা কি না নির্মাণ করেছে তাঁদের অস্তিত্বের লড়াই ও ভবিষ্যৎ সংগ্রামের পথ।
কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণে অনেক পরিবারের মধ্য সমারীর পরিবার ও ভুক্তভোগী। সমারীর মায়ের পরিবার পুরাতন রাঙামাটির মগবান এলাকার অধিবাসী ছিলেন। তাঁর মায়ের বয়স তখন ১০ বা তার ও কম, তখন তাঁদের চলে যেতে হয়েছিল অন্য এলাকায়। নিজের এবং আশপাশের অনেক পরিবারের এই জীবনধারা শুনে বেড়ে উঠেছে সমারী এবং একই সঙ্গে সুযোগ হয়েছে দেশ পাড়ি দেওয়া আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অনেকের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে সমারী।
সমারীর কথ্য ইতিহাস তাই কোনো ব্যক্তি বেড়াজালে আবদ্ধ থাকেনি, জাতিগোষ্ঠীর ব্যাখ্যানে পরিণত হয়েছে। স্মৃতিকথা যারা ব্যক্ত করেছে তাঁদের সমারী ডুবুরি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যেন তাঁরা কাপ্তাইয়ের স্বচ্ছ জলে ডুব দিয়ে অনুসন্ধান করেছেন তাঁদের অতীত জীবন এবং সেগুলি তুলে এনে সাজিয়েছে তাঁদের স্মৃতিকথায়, ডুবুরি যেমন ডুব সাঁতার কেটে নিয়ে আসে মনি-মুক্তো-রূপা-রতন যা দিবালোকে আলোকরশ্মি ছড়ায় মানুষের চেতনার দীপ্তভূমিতে।
বইটি ঢাকায় পাওয়া যাচ্ছে-বেঙ্গল বই, ধানমণ্ডি, ঢাকা, চট্টগ্রামের বাতিঘর।
খাগড়াছড়িতে- সোনাক্কোর দোকান, স্বনির্ভর বাজার। রান্যে টুগুন রেস্টুরেন্ট- মহাজনপাড়া। মাস্টার ল চেম্বার, খাগড়াছড়ি বার কাউন্সিল। প্রজ্জোল চাকমা- রাঙামাটি বার কাউন্সিল। শুভ্রজ্যোতি চাকমা, রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইনস্টিটিউট।
এ ছাড়া বইটি ভারতের আগরতলা এবং পেজারতলে সামনের বইমেলায় পাওয়া যাবে। আগ্রহীদের চাকমা স্টলে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ রইল।
বইটির প্রকাশকাল- ২০১৮ বইমেলা, প্রকাশনায়-কমরেড রুপক চাকমা স্মৃতি ট্রাস্ট।