রবীন্দ্রনাথ
সভ্যতা-সংস্কৃতি ভাবনা ও সাম্প্রদায়িকতার সংকট
রবীন্দ্রনাথ কি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে সদাশয় পিঠ চাপড়ে দিতেন? বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় সম্পর্কে তিনি কি কিছুটা উদাসীন ছিলেন?
বেশ জনশ্রুতিপ্রাপ্ত এই ধারণাগুলো সম্পর্কে গোলাম মুরশিদের মূল্যায়ন বেশ ক্রুদ্ধ : ‘নোবেল পুরস্কার পেলেও রবীন্দ্রনাথ যে মুসলমান নন, এই সত্য বাঙালি মুসলমানরা ভুলে যেতে পারেন না। তাই তাঁর প্রতি আমাদের ভালোবাসা, বিমাতার প্রতি ভালোবাসার মতো-যতটা দায়িত্ববোধের কারণে, ততটা আন্তরিক নয়।’ বিদগ্ধ সাহিত্য সমালোচক মুরশিদ রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে জনশ্রুত ধারণা খণ্ডন না করলেও তাঁর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যে কিছুটা সাম্প্রদায়িকতা দোষে দুষ্ট তাই মনে করিয়ে দেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ উপনিবেশবাদকে কীভাবে মূল্যায়ন করেছেন? সেটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে শুরুতেই ‘সভ্যতার সংকট’ থেকে একটি উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করছি :
‘তখন ইংরেজি ভাষার ভিতর দিয়ে ইংরেজি সাহিত্যকে জানা ও উপভোগ করা ছিল মার্জিতমনা বৈদগ্ধের পরিচয়। দিনরাত্রি মুখরিত ছিল বার্কের বাগ্মিতায়, মেকলের ভাষাপ্রবাহের তরঙ্গভঙ্গে; নিয়তই আলোচনা চলত শেকসপিয়রের নাটক নিয়ে, বায়রনের কাব্য নিয়ে এবং তখনকার পলিটিকসে সর্বমানবের বিজয় ঘোষণায়। তখন আমরা স্বজাতির স্বাধীনতার সাধনা আরম্ভ করেছিলুম, কিন্তু অন্তরে অন্তরে ছিল ইংরেজ জাতির ঔদার্যের প্রতি বিশ্বাস। সে বিশ্বাস এত গভীরে ছিল যে একসময় আমাদের সাধকেরা স্থির করেছিলেন যে, এই বিজিত জাতির স্বাধীনতার পথ বিজয়ী জাতির দাক্ষিণ্যের দ্বারাই প্রশস্ত হবে।’
উপরি-উক্ত উদ্ধৃতিটি ইংরেজ ‘সভ্যতা’ আর ‘সংস্কৃতির’ প্রতি তরুণ রবীন্দ্রনাথের যে বিশ্বাস তাই ফুটিয়ে তুলেছেন আশি বছরের রবীন্দ্রনাথ, যখন তাঁর ‘জীবনক্ষেত্রের বিস্তীর্ণতা’ তার ‘সম্মুখে প্রসারিত’ হয়ে উঠেছে। ‘সভ্যতার সংকটে’ যে ইংরেজের প্রতি প্রগাড় ভালোবাসার কথা রবীন্দ্রনাথ উল্লেখ করেছেন, তাকেই এডওয়ার্ড সাইদ কালচার অ্যান্ড ইম্পেরিয়ালিজম গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন উপনিবেশবাদের টোটকা হিসেবে। সাইদ বলেন, উপনিবেশবাদ আর সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। অন্যভাবে বলতে গেলে উপনিবেশবাদী ধ্যান-ধারণা সংস্কৃতির মাধ্যমেই অধিক প্রকাশিত হয়।
তাহলে কি তরুণ রবীন্দ্রনাথকে আমরা সাম্রাজ্যবাদের তোষক ধরে নিতে পারি যিনি কি না বার্ক, শেকসপিয়র, মাককুল্যায় অথবা বায়রনে বুঁদ হয়ে ছিলেন, এই ভেবে যে ‘বিজিত জাতির স্বাধীনতার পথ বিজয়ী জাতির দাক্ষিণ্যের দ্বারাই প্রশস্ত হবে?’ আর এই ‘বিজিত জাতি’, নির্দিষ্ট করে বললে উপনিবেশবাদের নিগড়ে বন্দী জাতি, কি কেবলই ভারতের হিন্দু জনগোষ্ঠী? আর যেই ‘বিজয়ী জাতির’ কথা রবীন্দ্রনাথ উল্লেখ করেছেন তারা ঠিক কার ওপর বিজয় অর্জন করেছে? ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক ইংরেজের আগে ভারত উপমহাদেশের মুসলিম শাসককূলের ওপর নাকি সমগ্র ভারতবাসীর ওপর?
রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করে গড়ে কথা বিতর্কের পালে যাঁরা জোর হাওয়া দেন, বিশেষ করে তাঁকে সাম্প্রদায়িক প্রমাণে যাঁরা ব্যস্ত, ‘সভ্যতার সংকটে’ ইংরেজের প্রতি রবীন্দ্রনাথের প্রকাশিত অনুরাগকে তাঁরা বিশেষভাবে পাঠ করতেই পারেন। কিন্তু প্রবন্ধটির আরো বেশ কিছু অংশ পাঠ করলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে রবীন্দ্রনাথের ইংরেজ-বন্দনার প্রকৃতি। তাঁর প্রাথমিক অনুরাগকে একটি সভ্যতার প্রতি সহজাত বুদ্ধিবৃত্তিক আকর্ষণ বলেই ধরা যেতে পারে। সভ্যতার একটি সনাতন ব্যাখ্যাও প্রবন্ধটিতে আছে। যুবক রবীন্দ্রনাথ পাশ্চাত্য সভ্যতার সাথে প্রাচ্যের মেলবন্ধন হিসেবে দেখেছিলেন, তাই মনুর সদাচার যা কিনা আবার সভ্যতা, রবীন্দ্রনাথের কাছে অগ্রহণীয় কারণ ‘সরস্বতী ও দৃশদ্বতি নদীর মধ্যবর্তী যে দেশ ব্রহ্মাবর্ত্ম নামে বিখ্যাত ছিল, সেই দেশে যে আচার পারম্পর্যক্রমে চলে এসেছে তাকেই বলে সদাচার। অর্থাৎ এই আচারের ভিত্তি প্রথার উপরেই প্রতিষ্ঠিত—তার মধ্যে যত নিষ্ঠুরতা, যত অবিচারই থাক্’। প্রাসঙ্গিকভাবেই রবীন্দ্রনাথের পার্থিব চিন্তার জগৎ ব্রাহ্ম দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, আর প্রাচীনপন্থার আচারের মধ্যে ‘যত নিষ্ঠুরতা, যত অবিচার[সমূহের]’ বিরুদ্ধে তিনি অবস্থান নিয়েছিলেন।
‘সভ্যতার সংকটের’ প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ আবিষ্কার করলেন, ইংরেজের ‘সাম্রাজ্যমদমক্ততা’ যা তাকে বাধ্য করেছে ‘নিভৃতে সাহিত্যসম্ভোগের বেষ্টন’ হতে নিজেকে মুক্ত করতে। অর্থাৎ উত্তর-উপনিবেশবাদী সাহিত্য তত্ত্বে যাকে এডওয়ার্ড সাইদ সেক্যুলার ক্রিটিসিজম (secular criticism) বলে চিহ্নিত করেছেন।
একটু ব্যাখ্যা করে বললে সাইদ সাহিত্য সমালোচকদের মধ্যে আবিষ্কার করেছেন বিশ্বে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে এক ধরনের নির্লিপ্ততা। সাহিত্য সমালোচনায় সাইদ আবিষ্কার করেন :
“. . . pure textuality and critical noninterference . . . coincided with the ascendancy of Reaganism, or for that matter with a new cold war, increased militarism and defense spending, and a massive turn to the right on matters touching the economy, social services and organized labour.”
রাষ্ট্র, সাইদ বলছেন, যত ডানপন্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সামরিক বাজেট বরাদ্দ বাড়াচ্ছে অথবা ঠান্ডাযুদ্ধের দামামা বাড়িয়েই চলেছে, ক্রিটিক্যাল আলোচনা ততই হয়ে পড়ছে টেক্সট-নির্ভর, নিরুত্তাপ আর নির্লিপ্ত। এই নির্লিপ্ত, অরাজনৈতিক সাহিত্য সমালোচনার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে সাইদ সেক্যুলার ক্রিটিসিজম ধারণার প্রবর্তন ঘটান। তেমনিভাবে রবীন্দ্রনাথ ১৯৪১ সালের প্রবন্ধটিতে বৈশ্বিক রাজনীতির ছোঁয়াবিহীন সাহিত্য অনুরাগকে বলছেন অপাঙক্তেয়। রবীন্দ্রনাথের এই আত্ম-সমালোচনা যদি ‘worldliness’ হিসেবে পাঠ করি, আমরা উপনিবেশবাদী রাজনীতির খেলাঘরে মুসলমানদের অবস্থান সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের অবস্থানের একটি পরিচয় পাব। তিনি বলছেন, ‘মস্কাও শহরে গিয়ে রাশিয়ার শাসনকার্যের একটি অসাধারণতা আমার অন্তরকে স্পর্শ করেছিল- দেখেছিলেম, সেখানকার মুসলমানদের সঙ্গে রাষ্ট্র-অধিকারের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে অমুসলমানদের কোনো বিরোধ ঘটে না; তাদের উভয়ের মিলিত স্বার্থসম্বন্ধের ভিতরে রয়েছে শাসনব্যবস্থার যথার্থ সত্য ভূমিকা’। একটু পরে তিনি যোগ করেছেন, ‘বহুসংখ্যক পরজাতির উপরে প্রভাব চালনা করে এমন রাষ্ট্রশক্তি আজ প্রধানত দুটি জাতির হাতে আছে—এক ইংরেজ, আর - এক সোভিয়েট-রাশিয়া। ইংরেজ এই পরজাতীয়ের পৌরুষ দলিত করে দিয়ে তাকে চিরকালের মতো নির্জীব করে রেখেছে।’ উভয় উদ্ধৃতি একটু ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথ ইংরেজ আমলে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক তিক্ততা বিষয়ে খুবই সচেতন। বিশেষ করে ইংরেজ আমলে মুসলমান নিগ্রহের ব্যাপারে তিনি বেশ উচ্চকিত ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে।
রবীন্দ্রনাথের এই অবস্থান বঙ্গভঙ্গ আর বঙ্গভঙ্গ রদ-পরবর্তী সময়ে লিখিত ‘হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রবন্ধটিতেও আমরা খুঁজে পাই। ১৯১১ সালে প্রকাশিত প্রবন্ধটি সেই সময়ের রাজনীতির সাথে রবীন্দ্রনাথের কথোপকতনের (dialogue) একটি জোর প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়।
প্রবন্ধটি প্রমাণ বহন করে হিন্দু-মুসলিম ভেদবুদ্ধির রাজনীতির সাথে, অর্থাৎ সেই সময়ের রাজনীতির সাথে রবীন্দ্রনাথের ঠিকই বোঝাপড়া হচ্ছে। ভিন্নতার রাজনীতি, প্রবন্ধটিতে তিনি বলছেন, সেই সময়কার বাস্তবতা। আর সেই বাস্তবতার নিরিখে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাওয়া বাঙালি মুসলমান যদি আলাদা হতে চায়, তাকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘আজ আমাদের দেশে মুসলমান স্বতন্ত্র থাকিয়া নিজের উন্নতিসাধনের চেষ্টা করিতেছে। তাহা আমাদের পক্ষে যতই অপ্রিয় এবং তাহাতে আপাতত আমাদের যতই অসুবিধা হউক, একদিন পরস্পরের যথার্থ মিলনসাধনের ইহাই প্রকৃত উপায়।” তিনি আরো বলছেন, ‘আধুনিক কালের শিক্ষার প্রতি সময় থাকিতে মনোযোগ না করায় ভারতবর্ষের মুসলমান হিন্দুর চেয়ে অনেক বিষয়ে পিছাইয়া পড়িয়াছে। সেখানে তাহাকে সমান হইয়া লইতে হইবে। এই বৈষম্যটি দূর করিবার জন্য মুসলমান সকল বিষয়েই হিন্দুর চেয়ে বেশি দাবি করিতে আরম্ভ করিয়াছে। তাহাদের এই দাবিতে আমাদের আন্তরিক সম্মতি থাকাই উচিত। পদ-মান-শিক্ষায় তাহারা হিন্দুর সমান হইয়া উঠে ইহা হিন্দুরই পক্ষে মঙ্গলকর।” সমসাময়িক রাজনীতিতে ধর্মের প্রবল ব্যবহারকে আমলে নিয়েই রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধটিতে বাঙালি জাতির ‘অপর’ অংশের প্রতি হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে তারা উপনিবেশবাদের প্রভাবে সৃষ্ট বৈষম্য কাটিয়ে উঠতে পারে।
রবীন্দ্রনাথ যে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা প্রবন্ধটির পরবর্তী অংশে বলেছেন, তাকে এডওয়ার্ড সাইদের ধারণা affiliation-এর সাথে তুলনা করা চলে : “অতএব যাঁহারা স্বতন্ত্রভাবে হিন্দু বা মুসলমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকে ভয় করেন, তাঁহাদের ভয়ের কোনো কারণ নাই এমন কথা বলিতে পারি না। কিন্তু তৎসত্ত্বেও এ কথা জোর করিয়া বলিতে হইবে যে, যে শিক্ষার মধ্যে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সকল বিদ্যারই সমাবেশ হইতেছে সে শিক্ষা কখনোই চিরদিন কোনো একান্ত আতিশয্যের দিকে প্রশ্রয় লাভ করিতে পারিবে না। যাহারা স্বতন্ত্র তাহারা পরস্পর পাশাপাশি আসিয়া দাঁড়াইলে তবেই তাহাদের বাড়াবাড়ি কাটিয়া যায় ও তাহাদের সত্যটি যথার্থভাবে প্রকাশ পায়। নিজের ঘরে বসিয়া ইচ্ছামতো যিনি যত বড় খুশি নিজের আসন প্রস্তুত করিতে পারেন, কিন্তু পাঁচজনের সভার মধ্যে আসিয়া পড়িলে স্বতই নিজের উপযুক্ত আসনটি স্থির হইয়া যায়। হিন্দু বা মুসলমান বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি বিশ্বকে স্থান দেওয়া হয় তবে সেই সঙ্গে নিজের স্বাতন্ত্র্যকে স্থান দিলে কোনো বিপদের সম্ভাবনা থাকিবে না। ইহাতেই বস্তুত স্বাতন্ত্র্যের যথার্থ মূল্য নির্ধারিত হইয়া যাইবে।” জর্জ সিমেলের উদ্ধৃতি টেনে সাইদ যাকে বলেন জীবনের বৈচিত্র্য, ভিন্নতা-কাঠামোর স্থিতিস্থাপকতার বিপরীতে যার অবস্থান, রবীন্দ্রনাথ স্বাতন্ত্র্যে বিশ্বকে স্থান দিতে বলেন : “The turn from filiation to affiliation . . . found . . . in the culture and embodies . . . the modern cultural process by which life ‘incessantly generates forms for itself,’ forms that, once they appear, ‘demand a validity which transcends the moment, and is emancipated from the pulse of life. For this reason, life is always in a latent opposition to the form.’” সাইদ যেমন ভিন্নতায় অর্থাৎ affiliation এ মুক্তির সম্ভাবনা খুঁজে পান, রবীন্দ্রনাথ স্বাতন্ত্র্য আর বৈশ্বিকতার মেলবন্ধনে খুঁজে পান হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির বিনাশ। তাই রবীন্দ্রনাথ পৃথক হিন্দু-মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাই কোনো সমস্যা দেখেন না, কারণ পূর্ব আর পশ্চিমের জ্ঞানের সম্মিলনের যে সম্ভাবনা তিনি দেখতে পান ‘হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রবন্ধে আলোচ্য স্বতন্ত্র হিন্দু-মুসলিম শিক্ষা চেতনায়, তিনি আশা করেন উভয় সম্প্রদায় বৈচিত্রের মধ্যে মিলনাত্মক সম্ভাবনা খুঁজে পাবে।
তথ্যসূত্র :
সাইদ, এডওয়ার্ড. ‘সেক্যুলার ক্রিটিসিজম,’ আন্দ্রু রুবিন আর মুস্তফা বায়ুমি সম্পাদিত দ্য এডওয়ার্ড সাইদ রিডার থেকে উদ্ধৃত। পৃষ্ঠা ২১৮-২৪২
ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ. ‘সভ্যতার সংকট’, উৎস : http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/7230
---. ‘হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়.’ উৎস : http://www.tagoreweb.in/
মুরশিদ, গোলাম. ‘রবীন্দ্রনাথ অবহেলিত কেন,’ দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত, মার্চ ০৯, ২০১৪