ভালোবাসা দিবসে বাসন্তি সাজে বইমেলা মানুষের ঢল

একদিকে বসন্ত, অন্যদিকে ভালোবাসা দিবস। অমর একুশে বইমেলায় আজ দিনটা তাই অন্যরকম। লাল আর বাসন্তি শাড়ি-পাঞ্জাবিতে মেলার শুরু থেকেই আজ নেমেছে মানুষের ঢল। বিকেল সাড়ে ৫টায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই মেলা প্রাঙ্গণে। যদিও এ পর্যন্ত বেচাবিক্রি সে অনুপাতে নেই, বলছেন স্টল-প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মীরা। তবে, অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে, বলছেন তারা।
অন্বেষা'র বিক্রয়কর্মী ব্যস্ত সময়ের মধ্যে জানান, অনেকেই আসছেন। বই দেখছেন। তাদের স্টলে বেচাকেনা ভালোই। তবে, রৌদ্রছায়া প্রকাশের স্বত্বাধিকারী আহমেদ রউফ জানান, তাদের স্টল যেপাশে পড়েছে, তাতে মানুষের আনাগনা শুরু থেকেই কম। তাই বিক্রিও কম।
লিটলম্যাগ দ্বীপজ সম্পাদক সাব্বির আলম চৌধুরী বলেন, লিটলম্যাগ স্টলটি সৃজনশীল হওয়া উচিত ছিল। গতবার ভালো ছিল। এজন্য পাঠক-পাঠিকারা আসতেন। এবার বস্তির মতো ঘিঞ্জি পরিবেশ হওয়ায় রুচিশীলরা প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে মনে হচ্ছে। তাই লোকসমাগম কম।
পর্বতারোহী ও লেখক ইকরামুল হাসান শাকিল জানান, লেখক-প্রকাশক-পাঠিকা-পাঠকের মিলনমেলা। প্রতিদিন তো সবাই আসতে পারেন না। বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ উপস্থিতি বাড়ে। এটাই স্বাভাবিক।
করাতকল নির্বাহী সম্পাদক ও দ্রষ্টব্য’র সহযোগী সম্পাদক কবি শাফি সমুদ্র বলেন, ‘ভিড় অনেক, তবে খদ্দের নেই।’
বই নেড়েচেড়ে দেখছিল সাত বছর বয়সী আনিকা। ডালিমকুমারের গল্পের বই চায় তার। কিন্তু কোথায় পাবে। প্রশ্ন তার। যদিও দুটো রূপকথার বই কিনেছে সে।
বন্ধুর সঙ্গে লাল শাড়িতে সেজেছে রাইসা তাবাসসুম। জানান, বই কিনবেন। এখনও কেনেননি। উপন্যাস তার পছন্দ।