শবে বরাত উপলক্ষে শুক্রবার সময় কমেছে বইমেলার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/14/book_fair_25.jpg)
আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিন বইমেলা নির্ধারিত সময়ের আগে শুরু হবে এবং শেষও হবে আগেভাগেই। শুক্রবার বিকেল ৩টার পরিবর্তে সকাল ১১টায় বইমেলার গেট খুলবে। আর পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাত ৯টার পরিবর্তে মেলা চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার অমর একুশে বইমেলার ১৩তম দিনে নতুন বই এসেছে ৮৫টি। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান : প্রেক্ষাপট ও অভিমুখ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সারোয়ার তুষার।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন যোবায়ের আল মাহমুদ এবং নুসরাত সাবিনা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন মাহবুব মোর্শেদ।
প্রাবন্ধিক বলেন, এ অঞ্চলের প্রত্যেকটি ঐতিহাসিক পর্বে ছাত্রসমাজ এগিয়ে এসেছে এবং রাজনৈতিক পরিণতির অভিমুখ নির্ধারণ করেছে। বৃহত্তর জনগণ ছাত্রশক্তির ডাকে সাড়া দিয়েছে এবং গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করেছে। ছাত্র-জনতার সফলতা বা ব্যর্থতার ওপর রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যত গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে তীব্রতর হয়েছে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান। ফ্যাসিবাদী শক্তি দীর্ঘদিন এ দেশের জনগণকে অবদমিত করে রেখেছিল। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে জনগণের অবদমিত আকাঙ্ক্ষার বিস্ফোরণ ঘটেছে। জনগণ ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপ করে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্যই এই অভ্যুত্থানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ২৪-এর অভ্যুত্থানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। এর তাৎক্ষণিকতা, এর আকস্মিকতা সবকিছু মিলিয়ে এটি ছিল একটি সফল গণঅভ্যুত্থান।
এ ছাড়া, আজ 'লেখক বলছি' মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন- কবি ফাতিমা তামান্না এবং কবি মুহাম্মদ আবদুল বাতেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রবিউল আলম এবং নাসিম আহমেদ।