অগ্রণী ব্যাংকের দুর্নীতি, ৩ জনের নথি তলব
অগ্রণী ব্যাংকের ক্রেডিট ডিভিশনের প্রধান আব্দুস সালাম মোল্লাসহ তিনজনের দুর্নীতির অভিযোগ পুনরায় অনুসন্ধান প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অনুসন্ধান ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া সংক্রান্ত দুদকের নথি তলব করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমদ।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, অগ্রণী ব্যাংকের ক্রেডিট ডিভিশনের প্রধান আব্দুস সালাম মোল্লার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বরাদ্দ করে তার মাধ্যমে অবৈধভাবে কমিশন আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে ব্যাংকের কর্মচারীরা দুদকে আবেদন করে।
ওই আবেদনের ওপর ভিত্তি করে দুদক অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট আব্দুস সালাম মোল্লা এবং বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি আবুল কাশেম ও রাকিবুল ইসলামের সম্পদ দুদকের ম্যানুয়াল অনুসারে অনুসন্ধান না করে তাদের দায় মুক্তি দিয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কমিশনের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আনোয়ার হোসেন নামের চট্টগ্রামের এক ব্যক্তি রিট করেন। ওই রিটের আদালত রুল জারি করেন।
রুলে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির দুদকের সার্কুলার অনুসরণ না করে অনুসন্ধান কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণার সিদ্ধান্তকে কেন অবৈধ ও বেআইরি ঘোষণা করা হবে না এবং এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে পুনরায় তদন্ত করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানাতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
একইসঙ্গে দুদকের চেয়ারম্যান ও সচিবকে অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট নথি ৩ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।