আইএফআইসিতে ডাকাতির চেষ্টা : একজনের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর বাড্ডায় আইএফআইসি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. হৃদয় হোসেন নামের এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে আরও দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রণপ কুমার ভক্ত বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজন আসামিকে হাজির করে পুলিশ। তাঁরা তিন দিন করে রিমান্ডে ছিলেন। এর মধ্যে আসামি মো. হৃদয় হোসেন (২১) স্বীকারোক্তি দিতে চাইলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম তার স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন।
অপর দুই আসামি মো. মামুন (২০) ও রুবেল শিকদারকে (২১) তদন্ত কর্মকর্তা কারাগারে পাঠানোর আবেদন করলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তাদের কারাগারে পাঠান।
জিআরও আরও বলেন, এর আগে গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত রোববার ভোরে আইএফআইসি ব্যাংকের বাড্ডা শাখার সাইনবোর্ডের দেয়াল ভেঙে ভেতরে একজন প্রবেশ করে। এরপরে তিনি শাবল দিয়ে একটি ভোল্ট ভেঙে ফেলেন। ঘটনাটি আইএফআইসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেখানকার কর্মীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়।
পরবর্তীতে ৯৯৯ নম্বর থেকে থানায় খবর দেওার পর টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকের ভেতর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।