আন্দোলনে সরকারের পতন হবে না, এটা বিএনপিও জানে : হানিফ
বিএনপি-জামায়াত আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, এটা বিএনপিও জানে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। সেজন্য আন্দোলনের নামে অহেতুক রাজনৈতিক খেলা খেলে মানুষকে কষ্ট না দিতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে আজ রোববার (৯ এপ্রিল) পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে পল্টন থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এ মন্তব্য করেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন এই সরকারের অধীনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন করবে। আপনারা যদি মনে করেন দেশের মানুষ সরকারকে পছন্দ না করে আপনাদের পছন্দ করে, তাহলে ভোটে আসেন। ভোটের মাধ্যমে জনগণ সিদ্ধান্ত দেবে কারা সরকারে আসবে। কাদের দ্বারা দেশের জনগণ উপকৃত হয়, কোন সরকারের অধীনে দেশের উন্নয়ন হয় সেটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জনগণের প্রতি তাদের (বিএনপি) আস্থা নেই। জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। এদের আস্থা বিদেশি প্রভুদের ওপর। তাই তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। বিদেশি দূতাবাসগুলোতে দৌড়ঝাঁপ করে। ২০১২ সালে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা শুরু হয়েছিল, তখন থেকে বিএনপি আন্দোলন করে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যখন হলো তখন থেকে আন্দোলন করছে। আন্দোলন করে লাভ কোনো হয়নি। বিএনপি-জামায়াত আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। এটা বিএনপিও জানে। আর এজন্য এখন তারা যা বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছে।
‘বিএনপি-জামায়াতের লক্ষ্য একটাই, শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানো। কিন্তু তারা সরকারের ক্ষতি করতে গিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতি করছে।’ বলেন হানিফ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতে মন্দাভাব চলছে, অর্থনীতি দুরবস্থার মধ্যে আছে। সেই ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। এ মন্দা ভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা আমাদের দেশেও লেগেছে। তারপরও আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এই চরম দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে পেরেছেন।
হানিফ আরও বলেন বিশেষ করে রমজান মাসে যাতে মানুষের কষ্ট না হয় সেজন্য ইফতার অনুষ্ঠান না করে মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এমনকি প্রত্যেকটি গ্রাম পর্যায়ে মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্ত আবারও প্রমাণ করেছে তিনি গণমানুষের নেত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। সভাপতিত্ব করেন পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক আবুল।