আবরার হত্যা মামলা : দ্রুত বিচারে প্রসিকিউশন টিম গঠন
ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল ১-এ বিচারাধীন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের প্রসিকিউশন টিম গঠন করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
প্রসিকিউশন টিমে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজলকে চিফ প্রসিকিউটর এবং অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী ও অ্যাডভোকেট মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঁঞাকে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন ২০০২ এর ধারা ৬-এর বিধান অনুযায়ী সরকার এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল ১-এ স্থানান্তর করেছে।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর পরিবার আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ মামলাটি জরুরি বিবেচনা করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
গত বছর ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলে নিজের কক্ষ থেকে আবরারকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরের দিন তাঁর বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। নৃশংস ও বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদের ১১ নেতাসহ বুয়েটের ২৫ ছাত্রের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তাদের সবাইকেই চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে। সাক্ষী হয়েছেন ৩০ জন। গ্রেপ্তার করা আসামিদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আটজন আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে অপর আসামিদের সম্পৃক্ততাও উঠে এসেছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর বাইরে তদন্ত কর্মকর্তারা বুয়েটের শিক্ষক, শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট, চিকিৎসক, নিরাপত্তাকর্মীসহ বিভিন্নজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন। আলামত হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা আবরারের রক্তমাখা জামা-কাপড়, মেসেঞ্জারে আসামিদের লিখিত যোগাযোগ, শেরেবাংলা হলের সিসিটিভি ফুটেজসহ ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা আলামত আদালতে জমা দিয়েছেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মো. মুজাহিদুল, মো. তানভীর আহমেদ, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, মো. আকাশ, শামীম বিল্লাহ, মো. সাদাত, মো. তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না ও এস এম মাহমুদ সেতু।