আমি হাসপাতাল থেকে পালাইনি : সুমন বেপারী
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনার ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সুমন বেপারীকে নিয়ে কৌতুহল বেড়েছে মানুষের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমের খবর,হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিলেন সুমন। তবে সুমন বেপারী বলছেন, ‘আমি হাসপাতাল থেকে পালাইনি। এখনো হাসপাতালের বেডেই শুয়ে আছি।’
আজ শনিবার বিকেলে সুমন বেপারীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের। কথোপকথনের একপর্যায়ে সুমন বেপারী হাসপাতাল থেকে না পালানোর কথা জানান। তিনি এখন রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সুমন বেপারী বলেন, ‘আমি হাসপাতাল থেকে পালাতে যাব কেন? আমাকে উদ্ধার করার পরদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে রিলিজ দিয়ে দেয়। তারপর আমি হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে যাই। গত বৃহস্পতিবার রাতে আবার হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছি।’
সুমন বেপারী বলেন, ‘আমার শরীর দুর্বল। মাথা ঘোরে। কানেও সমস্যা হচ্ছে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামীকাল রোববার আমার সিটিস্ক্যান করবে। আমি এখন হাসপাতালের ৩ নম্বর ভবনের ৮ নম্বর ইউনিটের ১৪ নম্বর বেডে শুয়ে আছি। আমাকে নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছে তা সঠিক না।’
মিটফোর্ড হাসপাতালে সুমন বেপারীর সঙ্গে আছেন তাঁর ভাতিজা আরাফাত রায়হান সাকিব। সাকিব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার চাচাকে জীবিত উদ্ধারের পর মিটফোর্ডে নিয়ে আসা হয়। পরেরদিন হাসপাতাল তাঁকে রিলিজ দেয়। তারপর আমরা মুন্সীগঞ্জে চলে যাই। চাচার শরীরের অবস্থা খারাপ হলে আবারো গত বৃহস্পতিবার আমরা সিএনজিতে করে নারায়ণগঞ্জ হয়ে হাসপাতালে আসি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে চাচা এখানেই আছেন।’
লঞ্চডুবি ও ১৩ ঘণ্টা পর তাঁর জীবিত উদ্ধার হওয়া নিয়ে তিনি আপনাকে কিছু বলেননি-এমন প্রশ্নে আরাফাত রায়হান সাকিব বলেন, ‘চাচা বলেছেন, লঞ্চটি যখন ডুবে যায় তখন তিনি অর্ধ ঘুমে ছিলেন। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পর তিনি বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বের হতে পারেননি। চাচা লঞ্চের নিচ তলার ইঞ্জিন রুমের পাশে ছিলেন। লঞ্চটি যখন ডুবে যাচ্ছিল তখন তিনি একটি লোহার রড জাতীয় কিছু ধরে ছিলেন। সেখানে বাতাস ছিল বলে সুমন চাচা জানিয়েছিলেন। এর বাইরে তিনি কত সময় পানির নিচে ছিলেন বা কীভাবে ছিলেন তা তিনি মনে করতে পারেন না।’
গত ২৯ জুন সকাল সাড়ে ৭টার সময় মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট টার্মিনালের কাছাকাছি স্থানে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। ঘটনার পর নদী থেকে মোট ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। তবে ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস দাবি করেছিল, লঞ্চটি টেনে তোলার সময় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুমন বেপারীকে।