আম্পানের প্রভাবে প্রচণ্ড উত্তাল মেঘনা, প্লাবিত ভোলার চরাঞ্চল
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/05/20/vola_2.jpg)
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ভোলার পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে। প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। সেইসঙ্গে রয়েছে ঝড়ো বাতাস। নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিরাপদ গন্তব্যে যেতে শুরু করেছেন সেখানকার চরাঞ্চলের মানুষ।
আজ বুধবার সকাল থেকেই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হচ্ছে। নিরাপদ আশ্রয়স্থল সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় ঢালচর ও চর পাতিলার মানুষ বিপদের সম্মুখীন হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে ভোলার সাগর মোহনা ঢালচরের বাসিন্দা আলম ফরাজী মুঠোফোনে জানান, প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। এ ছাড়া এই চরে কোনো ধরনের সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে চর ছেড়ে গেছেন। যাঁরা রয়ে গেছেন, তাঁরা উঁচু গাছের ওপর অবস্থান নেওয়ার কথা চিন্তা করছেন বলে জানালেন তিনি।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2020/05/20/vola_1.jpg 687w)
এদিকে চর কুকরী-মুকরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাদশা মিয়া মুঠোফোনে জানান, চর কুকরী-মুকরীর অবস্থা বেশি ভালো না। ঝড়ো বাতাস আর জোয়ারের পানি বাড়ছে। তবে পাশের চর পাতিলা থেকে মানুষ ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে।
আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, ‘বর্তমানে এখানে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। জোয়ারের পানিতে গ্রামের সব রাস্তাঘাট ও মানুষের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। সাইক্লেন শেল্টার না থাকায় আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। এখনো জোয়ার হচ্ছে আর ক্রমেই বাড়ছে জোয়ারের পানি।’
অন্যদিকে, চর কুকরী-মুকরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাশেম মহাজন মুঠোফোনে বলেন, বর্তমান চর পাতিলার অবস্থা ভালো না। পানিতে প্লাবিত হয়েছে সব রাস্তাঘাট আর ঘরবাড়ি। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে মানুষকে।