আম্পানে ঝরে পড়া আম ত্রাণের জন্য কেনা হবে : কৃষিমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরা জেলায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ আমবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় ঝড়ে পড়া আমগুলো কিনে ত্রাণ হিসেবে দুস্থ জনগণের মধ্যে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে একদিকে যেমন আমচাষিরা কিছুটা আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে অন্যদিকে তেমনি দুস্থ এবং অসহায় জনগণের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে।’
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবন থেকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ফলে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক প্রতিবেদন তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অল্প কিছু কৃষিজ ফসলের বিশেষ করে ফলের মধ্যে আম, লিচু, কলা, সবজি, তিল এবং অল্প কিছু বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব নিরূপণের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মোট জমির পরিমাণ এক লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর। এরমধ্যে হাওড়ে শতভাগ, উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭ জেলায় শতকরা ৯৬ ভাগসহ সারা দেশে গড়ে এরইমধ্যে ৭২ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে। ফলে, ক্ষতির পরিমাণ সামান্য যা আমাদের খাদ্য উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে না।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শাকসবজি ও মসলা চাষিদের তালিকা প্রণয়ন করে তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন মৌসুমে বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ সহায়তাসহ বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, ফল ও পান চাষিদের মাত্র চার শতাংশ সুদে কৃষি ঋণের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষি মন্ত্রণালয় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।