আরডিএর প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বাদী হয়ে আজ বুধবার দুপুরে মামলাটি করেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাও হয়েছেন তিনি।
দুদকের মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলাটি পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরডিএর সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে। তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া ও বর্তমান নিবাস রাজশাহীতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালায় দুদক। অনুসন্ধানে শেখ কামরুজ্জামানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৬ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিলে আজ তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, দুদকের নোটিশ প্রাপ্তির পর শেখ কামরুজ্জামান তার অবৈধ সম্পদ ও সম্পত্তি গোপন করার লক্ষ্যে তড়িঘড়ি করে মালিকানা স্থানান্তর করেন। সম্পদের প্রকৃতি বদল করেন। একই সঙ্গে উৎস গোপন করার বিভিন্ন চেষ্টা করেন।
দুদক আরও জানায়, দুর্নীতির মাধ্যমে আরডিএতে ঘুষ দিয়ে নিয়োগ লাভ ও চাকরি প্রাপ্তির অভিযোগে শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরও একটি দুর্নীতির মামলা রাজশাহীর স্পেশাল জজ আদালতে চলমান আছে। ওই মামলায় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে দুদক।
শেখ কামরুজ্জামান বর্তমানে রাজশাহী নগরীর উপশহর হাউজিং এস্টেটে বাড়ি করে বসবাস করেন। নগরীর পবা নতুনপাড়া এলাকায় তার আরও একটি বাড়ি আছে। কুষ্টিয়া জেলার বারখাদা এলাকায় তার স্থায়ী নিবাস। তিনি কুষ্টিয়া এলাকাতেও বিপুল সম্পদ করেছেন। আবার রাজশাহী মহানগরী ও পবা এলাকায় জমি, বাড়ি ও জলাশয় কিনেছেন। যা তার বর্তমান জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে পুরোপুরি অসঙ্গতিপূর্ণ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শেখ কামরুজ্জামান সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে আরডিএতে যোগদান করলেও পরবর্তী সময়ে তিনি এস্টেট কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ে দোকান ও প্লট বরাদ্দে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। সেই সময় তিনি বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হন।