আল্লাহর এই আজাব ক্ষমতাসীনদের বিরাট পরীক্ষায় ফেলেছে : সাংসদ হারুন
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেছেন, ‘মানুষের ওপর জুলুম, মানুষের ওপর নিপীড়ন, মানুষের ওপর অত্যাচারের মাত্রা এত বৃদ্ধি পেয়েছে, যে কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে এ আজাব। আজ আমরা যারা ক্ষমতায় রয়েছি, তাদের একটা বিরাট পরীক্ষার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন হারুনুর রশীদ।
সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘কোরআনের মধ্যে দেখেছি, অতীতে আল্লাহপাক হাজার হাজার বছর আগে বিভিন্ন জায়গায় যে আজাব দিয়েছেন, এই আজাবগুলো ছিল এলাকাভিত্তিক, অঞ্চলভিত্তিক, গোত্রভিত্তিক। কিন্তু এবারের এই আজাব গোটা বিশ্বকে আল্লাহ একসঙ্গে ঘিরে ফেলেছেন। এর কারণ, আমরা ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতার লোভে, ক্ষমতার মোহে আজ সবকিছুকে ভুলে গেছি।’
বিএনপিদলীয় এ সাংসদ আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্যে আমাদের পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে, আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। এ ছাড়া আমাদের দাম্ভিকতা, আমাদের অহংকার দিয়ে আমরা কোনো অবস্থাতেই এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাব না, মুক্তি পাব না। সুতরাং, আমি অনুরোধ করব, আমরা আমাদের অবস্থান, আমাদের জায়গাগুলো চিন্তা করি।’
সারা পৃথিবীর চিকিৎসা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত উল্লেখ করে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমাদের মাননীয় মন্ত্রীরা বিভিন্ন বিবৃতি দেন, খুব হাস্যকর লাগে। কখনো বলেন যে, করোনার থেকে আমরা শক্তিশালী, করোনা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বিজয় অর্জন করব। এটা বুঝতে হবে যে, আজ এটা আল্লাহ কর্তৃক আজাব। সাত মাস ধরে সারা পৃথিবীকে যেভাবে গ্রাস করেছে, সারা পৃথিবী বিপর্যস্ত, সারা পৃথিবীর চিকিৎসা ব্যবস্থা আজ সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত। আল্লাহ পাক কোরআনে এ কারণেই বলেছেন, আমার জায়গা থেকে আমি যতক্ষণ পর্যন্ত এটার জ্ঞান, এটার ফয়সালা না দেব, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা অনুসন্ধান করে, কোনো প্রচেষ্টা চালিয়ে এখান থেকে পরিত্রাণ পাবে না। এটা আল্লাহপাকের কোরআনের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা।’
হারুনুর রশীদ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আজ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার অবশ্যই জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আজ জাতির মধ্যে যে ক্ষতগুলো সৃষ্টি হয়েছে, এই ক্ষত দূর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া ছাড়া, আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আমাদের দ্বিতীয় কোনো পথ নেই।’