ইউএনওর ওপর হামলা : দুই আসামির ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে চুরির উদ্দেশ্যে ঢোকার পর হাতুড়িপেটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে ও তাঁর বাবাকে গুরুতর জখম করার ঘটনায় আটক দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের আজ শনিবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের কাছে আসামিদের হস্তান্তর করে র্যাব। তবে প্রধান আসামি আসাদুল হককে (৩৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে র্যাব-১৩-এর ডিএডি বাবুল খানের নেতৃত্বে রংমিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও সান্টু চন্দ্র দাসকে (২৮) ঘোড়াঘাট থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-১৩।
পরে আজ শনিবার সকাল ১০টায় আসামি দুজনের রিমান্ড চেয়ে দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর দিকে মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামকে (৩৫) অসুস্থ থাকায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানায় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মই বেয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। তারা বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। এ সময় ইউএনওর চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা তাঁর বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকেও আঘাতে জখম করে। পরে কোয়ার্টারের অন্য বাসিন্দারা তাঁদের চিৎকার শুনে পুলিশকে খবর দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে গত বৃহস্পতিবার ওয়াহিদা খানমকে ঢাকায় আনা হয়।
ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। সবশেষ জানা গেছে, তাঁর সেরে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী চিকিৎসকরা।